টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার পাইস্কা ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যর ছেলের নেতৃত্বে গলায় খুর ধরে মোবাইল ও টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
গত শনিবার বিষয়টি প্রকাশ পেলে গতকাল রোববার সকালে ওই ইউপি সদস্যের বাড়ির পাশে গ্রামবাসীর উদ্যোগে এক শালিসী বৈঠক হয়। এছাড়াও এ চক্রের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ তুলেছন গ্রামবাসী।
এ চক্রের মূলহোতা উপজেলার কয়ড়া গ্রামের রাফি ইসলাম (২২)। রাফি ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য জাকির হোসেনের ছেলে ও সাবেক ইউপি সসদ্য মজিবর রহমানের ভাতিজা। চক্রের অন্যরা একই গ্রামের রাতুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন ও বাবু মিয়া। আর ভুক্তভোগী একই গ্রামের মৃত আ. হাইয়ের ছেলে মো. লিটন মিয়া ও শাহাজান আলমের ছেলে সেলিম আহমেদ।
শালিশী বৈঠকে সভাপত্বি করেন ওই ওয়ার্ডের আ’লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন পাইস্কা ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জু মল্লিক, বর্তমান ইউপি সদস্য জাকির হোসেন, ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মজিবুর রহমান, আজাহারুল ইসলাম, পৌর ৯ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক গাজীবর রহমান ও আ’লীগ নেতা আনিছুর রহমান মুন্সিসহ কয়েক গ্রামবাসী। শালিসী বৈঠকে ওই চক্রকের চার জনকেই কয়েক ঘা জুতার বাড়ি দিয়ে ও সাদা কাগজে মুচেলিকা নিয়ে ছাড়া হয়।
ভুক্তভোগী লিটন মিয়া জানান, গত শুক্রবার রাতে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাফি, রাতুল, সাব্বির ও বাবু গলার ছুড়ি ধরে তাদের বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ১০ হাজার টাকার দাবি করে। সাথে থাকা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। হত্যার হুমকিতে বাকি টাকা রাতেই পরিশোধ করতে ছেড়ে দেয়। পরদিন শনিবার বিষয়টি পরিবারকে জানাই। এছাড়াও একই অভিযোগ করেন সেলিম আহমেদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, জাকির মেম্বার সপ্তাহে দুই দিন বাড়িতে থাকে। আর স্ত্রী সন্তান নিয়ে টাঙ্গাইলের এক এনজিও পরিচালনা করে। কেউ বাড়িতে না থাকায় রাফিও ওর তিন বন্ধু মিলে এলাকায় রাতে ছিনতাই, মাদক ব্যবসা করে। রাতে এলাকার পথচারীদের সুযোগ বুঝে নারীর প্রলোভনে নিরাপদ স্থানে নিয়ে টাকা-পয়সা লুটে নেয়। লিটনের সাথে ঘটনা ঘটলে মূল বিষয়টি প্রকাশে আসে। এলাকাবাসীরা আরও জানান, একই গ্রামের আনন্দ সূত্রধরের নেতৃত্বে মাদক ব্যবসা চলেছে দীর্ঘদিন। বেড়ে গেছে মাদক সেবান ও অপ্রীতিকর ঘটনা। আমরা আতঙ্কে আছি। প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করি।
ইউপি সদস্য জাকির হোসানে এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুঠোফোনে জানান, ‘আমি বাড়িতে না থাকায় ওরা চার জন একান্ড করেছে জানতে পেয়েছি এই বলে তিনি সংযোগ বিছিন্ন করেন দেন।’
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চান মিয়া জানান, ‘বিষয়টি জানা নেই। খুঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’