নেত্রকোনার মদনে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হত্যার জেরে ভাংচুর ও লুঠপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে প্রতিপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাতে সামারুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে মদন থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে সেনা সদস্য কিরণ চৌধুরী ও পুলিশ সদস্য মানিক মিয়াসহ ৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার ছালাকান্দা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ফারুখ মিয়া ও একই গ্রামের ইমদাদুল হক চৌধুরীর গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ৭ জুলাই উভয় পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। দুপুরে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হাফিজুল হক তাদের বাড়ীর সামনে গেলে ফারুখ মেম্বারের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। ঘটনা স্থলেই আইনজীবীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ইমদাদুল হক। এরই জেরে ফারুখ মিয়ার লোকজনের বাড়ী-ঘর ভাংচুর করা হয়।
মামলা বিবরণীতে আরো জানা যায়, ফারুখ মিয়ার লোকজনের ৭৯ টি গরু, প্রায় ৩ হাজার মণ ধান, ১ শত মণ চাল, ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, হাঁস-মুরগি, কৃষি যন্ত্রপাতি ও আসবাব পত্র লুঠ করে নিয়ে যায়। এছাড়াও অধিকাংশ ঘর-বাড়ী নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সামারুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে নিহত শিক্ষানবিশ আইনজীবী হাফিজুল হক চৌধুরীর বাবা ইমদাদুল হক চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে লুঠপাট ও ভাংচুর মামলা দায়ের করেছেন।
ভাংচুর ও লুঠপাটের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, ছালাকান্দায় হাফিজুল হক হত্যাকান্ডের পর ভাংচুর ও লুঠপাটের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে এবং আসামি ধরার চেষ্টা চলছ।