প্রতিষ্ঠানের নাম নিউ কোয়ালিটি আইসবার। অথচ এখানে উৎপাদিত হতো প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়কে আইসক্রিম। পরে তা বাজারজাত করা হতো। বুধবার (১০ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় এমন কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
অভিযানে নকল আইসবার, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোড়ক ও উপকরণ সামগ্রী জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। পরে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে সিলগালা করে বন্ধ করে দেয়া হয়।
জানা যায়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে বুধবার জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজার এলাকায় মেসার্স নিউ কোয়ালিটি আইসবার নামক একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ রোবট, হাইস্প্রিড এবং অন্যান্য পরিচিত ব্রান্ডের আইসবার, নকল প্রস্তুতকৃত ১০ হাজার আইসবার, বিভিন্ন নামের ৩০ হাজার মোড়ক, ২৬ কৌটা অনুমোদনহীন রং ও ফ্লেবার, ২০ কেজি চকলেট পাউডার জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং সিলগালা করে বন্ধ করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম জানান, প্রতিষ্ঠানটি নিজের নামে কোনো আইসক্রিম বা আইসবার প্রস্তুত না করে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন ব্রান্ডের নাম দিয়ে আইসবার প্রস্তুত করে আসছিল।
উপকরণ হিসেবে বিভিন্ন অনুমোদনহীন রং ও ফ্লেবার ব্যবহার করেছিল। পরে প্যাকেজিং মেশিন দিয়ে বিভিন্ন ব্রান্ডের নামি-দামি কোম্পানির নামে মোড়কীকরণ করে বাজারে বিক্রি করা হতো। অভিযানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম, নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক একে আজাদ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মাহতাব উদ্দিন এবং জেলা পুলিশের একটি অংশগ্রহণ করে। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ঝাগুরঝুলি বিশ্বরোড এলাকার ভাই ভাই হোটেলকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও সংরক্ষণের অভিযোগে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।