জোয়ারের পানিতে কীর্তনখোলা, সুগন্ধা, সন্ধ্যাসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর তীরবর্তী এলাকাসহ বরিশাল নগরীর নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে। একই সঙ্গে উত্তাল রয়েছে এ অঞ্চলের বেশির ভাগ নদী।
তবে এই মুহুর্তে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়া খেয়া নৌকার মাঝি আব্দুল হাকিম মাঝি জানান, প্রচুর বাতাসের সাথে নদী বেশ উত্তাল রয়েছে। বিশেষ করে বাকগুলোতে বাতাসের চাপে নৌযান চালনা অনেক কষ্টকর। তাই ছোট-বড় সব ধরনের নৌযানকে দেখে-শুনে কীর্তনখোলা পাড়ি দিতে হচ্ছে।
এদিকে অতি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কীর্তনখোলা তীরবর্তী চরবাড়িয়া, লামচড়ি, শায়েস্তাবাদের নিম্নাঞ্চলগুলো। সেই সঙ্গে বরিশাল শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা খালগুলোর পানিতে নিচু এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। এছাড়া খালের সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেনের মাধ্যমে শহরের বেশ কিছু রাস্তা-ঘাটে পানি ওঠে পড়েছে।
চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা রাসেল জানান, দুপুর থেকে কীর্তনখোলা নদী বেশ উত্তাল রয়েছে, সেইসঙ্গে নদী তীরে বাতাসের গতিবেগও অনেক। অনেকটা ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে নদীর পানি বাড়ছে। বিকেল ৩টা নাগাদ নদী তীরবর্তী অনেকের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকে গেছে। ফলে এসব এলাকার বাসিন্দারা বিপাকে রয়েছেন।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, সামনে পূর্ণিমা রয়েছে। এর আগে নদ-নদীর পানি বাড়া প্রাকৃতিক নিয়মে স্বাভাবিক। তবে আজ বাতাসের গতি বেশি থাকায় স্বাভাবিক নিয়মের চেয়ে নদীর পানি বেশি বেড়েছে।
এদিকে বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে বরিশালের অধিকাংশ স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হতে থাকে। যা বিকাল পর্যন্ত অব্যহত ছিলো। এছাড়া অন্যান্য সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদীবন্দরসমূহকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।