ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

‘ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই’

বিনোদন ডেস্ক | আপডেট: মঙ্গলবার, আগস্ট ৯, ২০২২

‘ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই’

ছবি: সংগৃহীত

গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা ঘটনার ছায়া অবলম্বনে ‘শনিবার বিকেল’ নামে সিনেমা বানিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বছর চারেক আগেই সিনেমাটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়। মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ডে জমাও দিয়েছিলেন নির্মাতা। কিন্তু মুক্তির অনুমতি মেলেনি। বরং সেন্সর বোর্ড সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করে দেয়।

পরে অবশ্য আপিল করেছিলেন ফারুকী। সেই আপিলের বয়স পেরিয়েছে সাড়ে তিন বছর। কিন্তু কোনো উত্তর পাননি। তাই মাঝেমধ্যেই নিজের সিনেমাটি নিয়ে মন খারাপ হয় তার। কেননা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি প্রদর্শিত হয়েছে এবং ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছে। অথচ নিজ দেশেই মুক্তি দিতে পারছেন না।

গত রোববার (৭ আগস্ট) বিষয়টি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন ফারুকী। নির্মাতার স্ত্রী এবং সিনেমাটির অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাও সিনেমাটির মুক্তি চেয়ে স্ট্যাটাস দেন। এরপর আরও কয়েকজনকে দেখা যায় তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সিনেমাটি মুক্তির দাবি করতে।

এরইমধ্যে সিনেমা মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন সময় সেন্সর বোর্ড থেকে হয়রানি হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন ফারুকী। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে নিজের হয়রানি হওয়ার এসব কথা লেখেন ফারুকী।

এই নির্মাতা লেখেন, আমার কত রাত গেছে অনিদ্রায়। কত দিন গেছে ক্ষমতাবানদের দুয়ারে হাত মুছতে মুছতে। কত দুপুর গেছে রাগে অন্ধ হয়ে। কত বছর গেছে নিজের চিৎকার নিজেই গিলে ফেলে। ধন্যবাদ, হে রাষ্ট্র! ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই। সুতরাং, ঠিকই আছে।

তোমাকে ধন্যবাদ, আমাকে ঠিকঠাক সাইজ করার জন্য। ব্যাচেলরের সময় তুমি ভাবছো আমার ছবি সমাজ নষ্ট করে ফেলবে! মেড ইন বাংলাদেশে ভাবছো এই ছবি দেশ ধ্বংস করবে! সুতরাং দেড় বছর সেন্সর জেলে রাখছো! ঠিকই আছে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলারের জন্য সেন্সরের জেলটা একটা বোধ হয় কম হয়ে গেছিলো। অপরাধ বিবেচনায় ঐ ছবি আটকে রাখা উচিত ছিলো তিন বছর। যাই হোক শনিবার বিকেলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। উঠতে বসতে এইভাবে পিটিয়ে ছাল তোলার জন্য কৃতজ্ঞ।

কিন্তু এইভাবে বোধ হয় পুরোপুরি হবে না। কারণ একটা ছবি ভাবা হয়ে গেলে তো সেটা দুনিয়াতে এগজিস্ট করে গেলো। বানানো হলে তো আরো শক্তভাবে এগজিস্ট করলো। আজ হোক কাল হোক সেটা তো দেখে ফেলবে মানুষ। তাই বলি কি এমন কিছু একটা করো যাতে ভাবনাটাও বন্ধ করে দেয়া যায়। এমন ওষুধ আবিষ্কার করো, হে রাষ্ট্র, যাতে কারো মনে ক্ষোভ জন্ম না নেয়! কারণ সম্মিলিত ক্ষোভের চেয়ে বিধ্বংসী কোনো অস্ত্র নাই! আরও খেয়াল রাখতে হবে ক্রমাগত চাপে এই ক্ষোভ যেনো ঘৃণায় রূপ না নেয়। কারন কে না জানে ঘৃণার চেয়ে বড় কোনো মারণাস্ত্র নাই।