মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় শাহীন চোকদার (২৪) নামে হত্যা মামলার এক আসমিকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বাজিতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে গণউন্নয়ন প্রকল্পের পরিত্যক্ত একটি বাগান বাড়ী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শাহীন চোকদার একই এলাকার মোস্তফা চোকদারের ছেলে। সে বাজিতপুর গ্রামের সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রাজৈর সার্কেল) মো. আনিচুজ্জামান।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের বরাতে আনিচুজ্জামান বলেন, সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাজিতপুরে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে গণউন্নয়ন প্রকল্পের পরিত্যক্ত একটি বাগান বাড়ীতে শাহীন চোকদারের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে রাজৈর থানা পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় শাহীনের গলাকাটা ও শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো কোপের চিহ্ন ছিলো। এছাড়াও তার পা ও হাতের রগ কাটা ছিল। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে
মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও জানান, শাহীন চৌদিদার দেড় বছর আগে বাজিতপুর এলাকার সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি ছিলো বলে জেনেছি। কিছু দিন আগে তিনি জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন। রাতে ঘর থেকে কে বা কারা তার ঘর থেকে ডেকে নিয়ে নৃংশসভাবে হত্যা করেছে।
নিহতের পিতা মোস্তফাক চৌদিকার বলেন, আমার ছেলে রাতে ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। আমার স্ত্রীও অন্য রুমে ঘুমিয়ে ছিল। রাতে কেউ আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে গেছে। আমার মনে হয়, সোহেল হত্যার কারণে তাদের লোকজনই আমার ছেলেকে তারা খুন করেছে। আমি এ নিংশস হত্যা বিচার চাই। এভাবে কোন পশুকে মানুষ হত্যা করতে পারে না। যেভাবে আমার ছেলেকে ওরা হত্যা করেছে।
নিহত শাহীনের মা হামিদা খাতুন বলেন, আমার ছেলে মাদারীপুর সরকারী কলেজের ব্যবস্থাপনা শাখায় অর্নাস প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিলো। কিন্তু দেড় বছর আগে সোহেল হাওলাদার হত্যা মামলায় তাকে আসামি করার পর ঢাকায় রংয়ের কাজ করে চলতো। কয়েকদিন আগে জামিনে বেরিয়ে বাড়ীতে আসে। এ সুযোগে শত্রুরা আমার ছেলেকে রাতের আঘাতে ডেকে হত্যা করে ফেলে গেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।