ফ্রিডম বাংলা নিউজ

মঙ্গলবার, নভেম্বর ৫, ২০২৪ |

EN

ফেসবুকে ভাইরাল পেট্রোল পাম্পে মারধরের ঘটনা

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, আগস্ট ৭, ২০২২

ফেসবুকে ভাইরাল পেট্রোল পাম্পে মারধরের ঘটনা
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা শুনে শুক্রবার রাতে সিরাজগঞ্জ শহরের মিরপুর ফিলিং স্টেশনে শতশত যানবাহনের ভিড় জমে। এ সময় তেল দেওয়া বন্ধ করে দেয় পাম্প কর্তৃপক্ষ। ফলে যানবাহনের স্টাফরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং পাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক ব্যক্তিকে বেদম মারধর করা হলে তিনি গায়ের জামা খুলে পালাতে বাধ্য হন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে ওই ঘটনার ভিডিও ফেসবুক ভাইরাল হয়। তবে মারধরের শিকার ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। এর আগে শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ার খবরে ফিলিং স্টেশনে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়। শতশত মানুষ তেলের জন্য পাম্পে আসেন। বিশেষ করে বাইক ও ট্রাকের ভিড়ে দিশেহারা হয়ে যান পেট্রোল পাম্পের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তেল বিক্রি বন্ধ করে দিলে গ্রাহকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টির একপর্যায়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক ব্যক্তিকে সেখানে থাকা কয়েকজন মারতে শুরু করেন। মারের হাত থেকে বাঁচতে ওই ব্যক্তি নিজের পোশাক খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

মিরপুর ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার মো. বাবু খান জানান, তেলের দাম বাড়ার খবরে মুহূর্তেই শতশত বাইক ও ট্রাক এসে পাম্পে তেলের জন্য সিরিয়াল দেন। প্রতি বাইকার টাঙ্কি পুরো করে তেল নিতে চান। এমন পরিস্থিতিতে হিমশিম খেয়ে আমরা তেল দেওয়া বন্ধ করে দেই। এতে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে পাম্পে ভাঙচুর শুরু করেন।

এ বিষয়ে মিরপুর ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিবারী হাজী আকবর আলী জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ম্যানেজার আমাকে ফোন দিলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মিরপুর ফিলিং স্টেশনে ভাঙচুরের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে সকালে একটি মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে শুনেছি। তবে কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।