নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: বৃহস্পতিবার, আগস্ট ৫, ২০২১
শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অক্সিজেনের অভাবে রানু বেগম (৫০) নামের এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মৃত রানু বেগমের পুত্র আল-আমিন এ অভিযোগ করেন।
সূত্রমতে, সিটি কর্পোরেশনের ৬নং ওয়ার্ড পলাশপুর নতুন ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিলের স্ত্রী রানু বেগম কয়েকদিন ধরে মাথাব্যথা ও জ¦রে ভুগছিলেন। এ ছাড়া তার অ্যাজমা ছিল। এ কারণে প্রায়ই শ্বাসকষ্ট হতো। মঙ্গলবার সকাল থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। দুপুর দুইটার দিকে রানু বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তির পরামর্শ দেয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা অক্সিজেন দিতে বলেন।
আল-আমিন হোসেন বলেন, অক্সিজেনের জন্য আমরা নিচতলার ওয়ার্ড মাস্টারের রুমে গেলে তিনি নার্সের রুমে পাঠান। নার্সের কাছে গেছে তিনি ওয়ার্ড মাস্টারের কাছে পাঠান। ওয়ার্ড মাস্টার আমার কাছে সিলিন্ডারের জন্য পাঁচশ’ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় আমাদের সিলিন্ডার না দিয়ে উল্টো অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ কার হয়। ফলে আমার মা অক্সিজেনের অভাবে মারা গেছেন।
আল-আমিন আরও বলেন, অক্সিজেন পরিমাপের জন্য মিটার কিনতে হাসপাতালের লোকেরা আমাদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেছিলো। তাদের টাকা না দিয়ে আমরাই অক্সিজেন পরিমাপের মেশিন কিনে এনেছি। তারপরেও আমাদের অক্সিজেন দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল সরকারি হলেও টাকা ছাড়া এখানে কোন চিকিৎসা পাওয়া যায়না বলেও সে (আল-আমিন) অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে করোনা ওয়ার্ডের অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার মশিউর রহমান জানান, তিনি কোনো রোগীর স্বজনকে গালিগালাজ করেননি। তাছাড়া অক্সিজেনে দেওয়ার এখতিয়ারও তার নেই। অক্সিজেন দিয়ে থাকেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্সরা।
শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মনিরুজ্জামান শাহীন বলেন, করোনা ইউনিট থেকে অক্সিজেন দেওয়া হবে না, এমন হওয়ার কথা নয়। অক্সিজেন সিলিন্ডার দিতে স্টাফরা টাকা দাবি করবেন, এটিও হওয়ার নয়। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে হাসপাতালের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।