জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২১
ধর্মপাশা উপজেলার
মধ্যনগর
পাবলিক
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয়ের
ভবন
নির্মাণে
নিম্নমানের
ইট,
সুরকি,
বালু
ও
পাথর
ব্যবহার
করা
হচ্ছে
বলে
অভিযোগ
উঠেছে।
নিম্নমানের
উপকরণ
সামগ্রী
ভবন
নির্মাণ
কাজে
ব্যবহার
করায়
বৃহস্পতিবার
সকালে
প্রধান
শিক্ষক
নূরুল
ইসলাম
এই
ভবন
নির্মাণ
কাজটি
বন্ধ
করে
দিয়েছেন।
জানা
গেছে, চারতলা বিশিষ্ট এই বিদ্যালয়টিতে ভবন
নির্মাণ কাজের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল
অধিদপ্তরে অধীনে দরপত্রের মাধ্যমে দুই কোটি ৭৩
লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি
পায় মোয়াজ্জেম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঠিকাদার শ্রমিক
নিয়োজিত করে ভবন নির্মাণ
কাজ শুরু করে। মাস
খানেক কাজ করার পর
ভবন নির্মাণ কাজের চারদিকে পানি চলে আসায়
কাজটি বন্ধ করে দিয়ে
ঠিকাদারের নিয়োজিত শ্রমিকরা সেখান থেকে চলে যায়।
সপ্তাহ খানেক ধরে ঠিকাদারের নিয়োজিত
৫/৬জন শ্রমিক ভবন
নির্মাণ কাজটি পুনরায় শুরু করে। কিন্তু
ভবন নির্মাণ কাজে তারা নিম্নমানের
ইট, সুরকি, বালু ও পাথর
ব্যবহার করে আসছে। খবর
পেয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়টির কয়েকজন
শিক্ষককে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার ভবন
নির্মাণ কাজ দেখতে যান।
এ সময় ভবনটির ভিম
ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। নিম্নমানের
উপকরণ ব্যবহারের সত্যতা পেয়ে প্রধান শিক্ষক
বিদ্যালয়ের ভবনের ঢালাই কাজটি বন্ধ করে দিয়ে
ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে ধর্মপাশার ইউএনও মো. মুনতাসির হাসানকে
মোবাইলে অবগত করেন। প্রধান
শিক্ষক নূরুল ইসলাম বলেন, ভবনটির ভিম ঢালাই কাজে
নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করায় আমরা এই
কাজটি বন্ধ করে দিয়েছি।
বিষয়টি ইউএনও জানিয়েছি।
ভবন
নির্মাণ কাজের ঠিকাদার মোয়াজ্জেম হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব
হয়নি। তবে তার প্রতিনিধি
ভুলু চৌধুরী বলেন, যৎ সামান্য সুরকি,
বালু ও পাথর খারাপ
ছিল। অভিযোগ আসায় আমরা এগুলোর
ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছি।
এই ভবন নির্মাণ কাজ
সঠিকভাবেই করা হবে।
ভবনের
কাজটির তদারকির দায়িত্বে থাকা সুনামগঞ্জ শিক্ষা
প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন,
ভবন নির্মাণের যে কোনো কাজে
নিম্নমানের উপকরণ সামগ্রী ব্যবহার করা যাবে না।
খুব শিগগিরই সরেজমিন ওই ভবন কাজটি
পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনতাসির হাসান বলেন, এ সংক্রান্ত খবর
পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।