ভারতীয় উপমহাদেশের চলচ্চিত্র সংগীতের অন্যতম দিকপাল কিশোর কুমার গাঙ্গুলি। সর্বজনে তিনি কিশোর কুমার নামেই পরিচিত। তিনি ছিলেন একাধারে সংগীতশিল্পী, অভিনেতা, চিত্র পরিচালক ও চিত্রনাট্যকার। তবে সবকিছু ছাপিয়ে বর্ণাঢ্য এক সংগীত ক্যারিয়ার রেখে গেছেন কিশোর কুমার। কিংবদন্তি এই সঙ্গীতশিল্পীর আজ ৮৯তম জন্মদিন।
১৯২৯ সালের ৪ আগস্ট ভারতের মধ্যপ্রদেশের এক বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কিশোর কুমার। চার ভাই-বোনের মধ্যে কিশোর কুমার ছিলেন সবার ছোট। তাঁর ভাই অশোক কুমার ছিলেন অভিনয়ের মানুষ। সেই সূত্রে তাঁকে অভিনেতা বানাতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিশোর কুমারের ছিল গানের নেশা।
ভারতের বিখ্যাত গায়ক কুন্দন লাল সায়গালের ভক্ত ছিলেন কিশোর কুমার। কুন্দন লালের গান হুবহু অনুকরণ করে গাইতেন তিনি। সে সময় সংগীত গুরু শচীন দেব বর্মণের পরামর্শে নিজস্বতা নিয়ে এগিয়ে চলেন কিশোর কুমার।
নিজের কণ্ঠকে ভেঙে গান গাওয়ার বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন কিশোর কুমার। সংগীতের ভাষায় যাকে বলে ইয়োডেলিং। সে সময় ভারতীয় শ্রোতাদের কাছে এই ধরনের গায়কী ছিল একেবারেই নতুন। কিছুটা পশ্চিমা এবং ভারতীয় সংগীতের মিশেলে কিশোরের গায়কী রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ভারতের প্রায় সব ভাষায় গান গাওয়ার কৃতিত্ব রয়েছে কিশোর কুমারের। সংগীত ক্যারিয়ারে প্রায় আড়াই হাজার গান গেছেন তিনি। হিন্দি ও বাংলা ভাষার বেশকিছু ছবিতেও অভিনয় করেছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে ৮বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন এই শিল্পী।
অদ্ভুতভাবে কিশোর কুমারের জীবনে ৪ সংখ্যাটি জড়িয়ে আছে। তাঁর জন্ম ৪ তারিখ ভোর ৪ টায়। বিয়ে করেছেন ৪বার সন্তানও ৪জন। এছাড়া বাংলা ভাষায় তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র ৪টি!
১৯৮৭ সালের ১৩ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন কিংবদন্তি এই শিল্পী।