সুপারস্টার শ্রীদেবী কন্যা জাহ্নবী বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছেন কয়েক বছর আগে। তবে পর্দায় আসার আগে থেকেই মায়ের নামের সঙ্গে সুবিচার করার বাড়তি চাপ ছিল তার ওপর। এরমধ্যে আবার ডেবিউ ছবির শ্যুটিংকালীনই মায়ের অকাল মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছিলেন জাহ্নবী। 'ধড়ক' ছবির সঙ্গে অভিনয় সফর শুরু করা জাহ্নবী, ক্যারিয়ারের শুরুর দিনগুলো ভাবলে আজও শিউরে ওঠেন।
'তারকা সন্তান বলেই ধর্মা প্রোডাকশনের ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়েছেন শ্রীদেবী কন্যা, তাঁর (জাহ্নবীর) নিজের কোনো যোগ্যতা নেই'- বারবার এই কথা শুনতে শুনতে রীতিমতো মানসিক উদ্বেগে ভুগছিলেন জাহ্নবী।
গত কয়েক বছর ধরেই বলিউডে 'নেপোটিজম' বিতর্ক চরমে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু এই বিতর্ককে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। স্বজনপোষণ নিয়ে জাহ্নবীর কাছে প্রশ্ন রাখা হলে পুরোনো দিনের কথা মনে করে রীতিমতো আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তিনি।
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে জাহ্নবী অভিনীত 'গুড লাক জেরি'। ছবিতে জাহ্নবীর অভিনয় বিশেষ নজর কেড়েছে। 'গুঞ্জন সাক্সেনা'র পর আরও এক নারীকেন্দ্রিক ছবির মুখ জাহ্নবী। স্টারকিড হয়েও ছবি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বরাবরই আলাদা জাহ্নবী।
অভিনেত্রী জানান, একথা নিশ্চিত বলিউড পরিবারের অংশ হওয়ায় তাঁর কাছে অভিনেত্রী হওয়ার সুযোগটা সহজে এসেছে। তবে এর জেরে তাঁকে মানসিক উদ্বেগের (অ্যাংজাইটি অ্যাটাক) মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, "ধড়ক, গুঞ্জন সাক্সেনার সময় আমাকে বারবার মনে করানো হত আমার সামনে সব সাজিয়ে রাখা হয়েছে। আমি এগুলোর যোগ্য নই, মানে এককথায় আমার কোনো পরিশ্রম নেই, কোনো মূল্য নেই। আমার কাছে কাজের সুযোগ আসছে, কারণ আমি প্রযোজক বনি কাপুরের মেয়ে বা সুপারস্টার শ্রীদেবীর মেয়ে। আমি তাঁদের সন্তান এটা আমার কাছে গর্বের। আমি নিঃসন্দেহে তাঁদের জন্যই কাজের সুযোগ পেয়েছি। তবে সত্যিটা হল আমি অভিনয়টা ভালোবাসি আর অভিনয়ের জন্যই বাঁচি।"
জাহ্নবী যোগ করেন, "আমি হাড়ভাঙা পরিশ্রম করি, কারণ বাবা-মা'র মুখ উজ্জ্বল করতে চাই। তবে আমি নিজের কাজটা ভালোবাসি। আমি ধীরে ধীরে বুঝেছি আমাকে নিজের কাজটা উপভোগ করতে হবে। আমি চেষ্টা করি সবসময় নিজের সেরাটা দিতে, যাতে আমার দিকে কেউ আঙুল তুলতে না পারে।"
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস