টাঙ্গাইল শহরে বিভিন্ন এলাকায় অল্প বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি জমে। এতে ড্রেনের পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশে পঁচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, বিভিন্ন সড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় সড়কে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এছাড়াও ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয়রা জানায়, অল্প বৃষ্টিতে টাঙ্গাইল শহরের কাজী নজরুল স্বরণী (সাবেক জেলা সদর সড়ক), বটতলা, জেলা সদর অফিসপাড়া, সাবালিয়া, রেজিষ্ট্রিপাড়া, পশ্চিম আকুরটাকুরপাড়া, পাঁচআনী-ছয়আনী বাজার সড়ক, বিশ্বাস বেতকা, আদালতপাড়া, আদি টাঙ্গাইল, বেড়াবুচনা, বেবিস্ট্যান্ড-বটতলা সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে ড্রেনের পঁচা পানির সঙ্গে বৃষ্টির পানি জমে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। কখনও কখনও দুর্গন্ধে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় স্থানীয়রা। সড়কে পানি জমে থাকার কারণে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়।
আকুরটাকুর পাড়া এলাকার রায়হান মিয়া বলেন, একটু বৃষ্টিতে কাজী নজরুল স্মরণী সড়কে হাঁটু পানি জমে। এতে রিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, জেলা সদর সড়কে পশ্চিম ও পূর্ব পাশে দুটি ড্রেন থাকলেও তা কোনো কাজেই আসে না। ড্রেনে স্বাভাবিকভাবে পানি নিষ্কাশন হতে পারে না। সড়কে পানি জমে থাকায় অনেকের যানবাহন নষ্ট হয়। ড্রেনের পঁচা পানিতে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
রিকশাচালক হারুন মিয়া বলেন, বৃষ্টির পর শহরের বেশ কয়েকটি সড়কে পানি জমে। এতে দুর্ঘটনা ঘটে।
আদি টাঙ্গাইল এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, ড্রেন না থাকায় আমাদের এলাকায় সড়কে হাঁটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াবুচনা বাগান এলাকার হাবিবুল্লাহ কামাল বলেন, ড্রেনের দাবি করে আসছি কয়েক বছর আগে থেকে। দুই বছর আগে ড্রেনের কাজ ধরলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।
জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামীম আল মামুন জুয়েল বলেন, বৃষ্টির পর শহরের সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়কে পানি জমে থাকার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয় অনেকেই। ড্রেনের পঁচা পানির দুর্গন্ধে সড়কে চলাফেরা ও সড়কের পাশে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এসব যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে পৌরসভার মেয়রসহ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক ও ড্রেনের টেন্ডার করা হয়েছে। আধুনিক ড্রেন নির্মাণ করে পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা পুরোপুরি সচল করে পৌরবাসীকে এই দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।