চুয়াডাঙ্গায় দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিন আরোহী নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর জখম হয়েছেন আরো এক জন। শনিবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ সড়কের নূরনগর-জাফরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের ফার্মপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে টুনু হোসেন আনন্দ (২৬), কলোনীপাড়ার কিতাব আলীর ছেলে মিঠু আলী (২২) ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার বাসিন্দা মুক্তা হালদার। আহত একজন হলেন, রাজশাহীর বাঘমারা থানার মোহনপুর গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে রনি আহমেদ। রনি ও মুক্তা দুজনই এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যাল নামে একটি ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আনন্দ ও মিঠু একই মোটরসাইকলেযোগে চুয়াডাঙ্গার দিকে যাচ্ছিল। অপররদিকে আরেকটি মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিল এভারেস্ট ওষুধ কোম্পানীর দুজন প্রতিনিধি। এসময় জাফরপুর যু্ব উন্নয়ন ভবনের সামনে পৌঁছেলা দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আনন্দ ও মিঠু। গুরুতর জখম হন রনি ও মুক্তা। পরে তাদরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেলে নেয়ার মারা যান মুক্তা হালদারও।
চুয়াডাঙ্গায় সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাপলা খাতুন জানান, আহত রনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ সুরতহাল শেষে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।