টাঙ্গাইলের মধুপুরের ভবানীটেকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র গোপ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক হামলা, মিথ্যা মামলা,উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের মির্জাবাড়ী গ্রামের স্কুল শিক্ষক সুবল চন্দ্র গোপ জানান,আমার প্রতিবেশী যতীন্দ্র চন্দ্র গোপের চেলে রাখাল চন্দ্র গোপ আমার জায়গা জমি বেদখল করার জন্য আমি ও আমার পরিবারের লোকজনের উপর হামলা, মিথ্যা মামলা, বাড়ী-ঘর থেকে উচ্ছেদ ও প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
রাখাল চন্দ্র গোপ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আমার বাড়ী-ঘরে হামলা চালিয়ে আমি ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করেন। মাঝে মধ্যেই রাখাল চন্দ্র গোপ ও তার দুই ছেলে নয়ন চন্দ্র গোপ ও কাজল চন্দ্র গোপ সহ তার বাহাম ভূক্ত লোকজন দিয়ে আমাদের বাড়ীতে গিয়ে মেরে ফেলা সহ উচ্ছেদের হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগাজ করে থাকেন।
আমি যখন স্কুলে যাই শংষ্কায় থাকি। রাখাল চন্দ্র গোপ কিছু দিন পূর্বে স্কুলে যাওয়ার সময় আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশে মাথায় আঘাত করেন। আমি মমেক হাসপাতালে দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে বেঁচে ফিরেছি। এঘটনায় মধুপুর থানায় রাখাল চন্দ্র গোপ গংদের নামে মামালা দায়ের করি । মামলা তুলে না নেওয়ায় আমি ও আমার স্ত্রী, মেয়েসহ মেয়ের জামাই কে নিয়ে মিথ্যা ও মানহানিকর কুৎসা রটায়। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
স্কুল শিক্ষক সুবল চন্দ্র গোপের মেয়ে মৌ প্রিয়া গোপ ও তার স্ত্রী মায়া রানী গোপ বলেন, বিগত ২ বছর পূর্বে বিবাদী পক্ষের আসামী রবীন্দ্র চন্দ্র গোপের ছেলে মিন্টু চন্দ্র গোপ মিন্টু চন্দ্র গোপ আমার একটি চেক চুরি করে নিয়ে যায়। পরে মধুপুর থানায় একটি চেকের বিষয়ে সাধারণ ডায়রী করি। ডায়রী করার ১ মাস পরে চেক ডিজনার করে উল্টো উল্লেখিত ঐ ৬ লক্ষ টকা’র পরিমান বসিয়ে আমার নামে টাঙ্গাইল কোর্টে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। পূর্ব শশ্রুতার জের ধরে সম্প্রতি বিবাদী রাখাল চন্দ্র গোপ ও তার বাহামভুক্ত’রা আমাদের বাড়ীর রাস্তার কালি মন্ধিরের পাশে আমার বাবা ও আমাদের পরিবারের সবাই কে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন। এ ব্যাপারে মধুপুর থানায় আমি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু অধ্যবধি পর্যন্ত কোন প্রকার সঠিক বিচার পাচ্ছি না। রাখাল ও মিন্টু চন্দ্র গোপ মাঝে মধ্যেই আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমরা জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছি। তাই আমরা সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় মানুষ আমরা আইনের আশ্রয়ে সঠিক বিচারের জন্য মাননীয় পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
স্কুল শিক্ষক সুবল চন্দ্র গোপের প্রতিবেশী মির্জাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান তুলা,মধু চন্দ্র গোপ,বাবু চন্দ্র গোপ ও আক্তার হোসেন সহ আরো অনেকেই জানান, রাখাল চন্দ্র গোপ দীর্ঘদিন যাবত স্কুল শিক্ষক সুবল চন্দ্র গোপ ভবানিটেকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র গোপ লোক হিসেবে অনেক ভালো। রাখাল চন্দ্র গোপ সুবল চন্দ্র গোপ ও তার পরিবারের লোকজন কে মাঝে মধ্যেই মারপিট করে। তার জায়গা বেদখল করার পায়তারা করছে। শুধু তাই নয় তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে একের পর এক হয়রানি করে যাচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। এবিষয়ে বিবাদী রাখাল চন্দ্র গোপের বাড়ীতে কথা বলতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি।