দেশের সিংহভাগ চাল উৎপাদনের জেলা দিনাজপুর। বোরোর ভরা মৌসুম থেকে বেড়ে যাওয়া সেই চালের দাম এখন পর্যন্ত কমছে না। পাশাপাশি ভারত থেকে চাল আমাদানী শুরু হলেও তার কোন প্রভাব নেই চালের দামে। যে কারনে বেশ বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা। এদিকে সংস্লিষ্টরা বলছেন চালের দাম কমাতে সরকারকে চাল আমদানী করে ভর্তূকি মূল্যে বাজারে ছাড়তে হবে।
ধানের জেলা দিনাজপুরের বিরলে কিছুতেই কমছেনা চালের বাজার। বোরোর ভরা মৌসুমে বেড়ে যাওয়া চালের দাম এখনো সেই রকমই রয়েছে বাজারে। বর্তমান খুচরা বাজারে বিআর ২৮ চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা, মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬২ থেকে ৬৬ টাকা এবং মোটা গুটি স্বর্ণা চাল ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের বেশি সময় ধরে এরকম চড়া দামেই চাল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে সরকারের চাল আমদানীর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর থেকে চালের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে বেশি দামে চাল কিনে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা।
চাল ক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, চালের দাম কিছুতেই কমছেনা। বরং বারছে। এভাবে হুহু করে যদি বারতেই থাকে আমরা সাধারণ মানুষরা কিভাবে চাল কিনবো। সরকার আমাদের সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে চালের দাম যেন সহনীয় থাকে তাই ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করিছি।
অপর দিকে চাল ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলছেন, মিলারদের কাছে বেশি দামে চাল কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। চাল আমদানী করার কারনে দাম বাড়ছেনা কিন্তু বিক্রি হচ্ছে আগের চড়া দামেই।
উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সভাপতি মোফাচ্ছেল হক ছেলু বলেন, চালের বাজার বৃদ্ধির প্রধান কারন বিশ্ববাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি। শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানী করেও দাম কমানো সম্ভব নয়। তবে ভর্তূকি মূল্যে সরকার চাল বাজারে ছাড়লে চালের দাম কমানো সম্ভব বলে মনে করছেন এই মিল মালিক নেতা।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত শনিবার থেকে ভারতের চাল আমদানী শুরু হয়েছে। ওই দিনই তিনটি ট্রাকে দেশে প্রবেশ করে ১০৫ মেট্রিক টন চাল।