নেত্রকোনার মদনে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু রানা মিয়াকে (১১) মাথা ন্যাড়া করে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটির চাচা এমদাদুল হক বাদি হয়ে রোববার রাতে তিন জনের বিরুদ্ধে মদন থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, রুদ্রশ্রী গ্রামের কাজল মীর, তার ছেলে সুমন মীর ও প্রতিবেশী যুবক হুমায়ূন মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে সুমন মীরের বসত ঘর থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা চুরি হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় চুরির অপবাদ দিয়ে সুমন মীর একই গ্রামের শিশু রানা মিয়া ঘরে আটকে রাখে। রাতভর নির্যাতন শেষে রবিবার সকালে শিশুটির মাথা ন্যাড়া করে। পরে বাড়ির সামনে বিদ্যুৎ এর খুঁটির সাথে বেঁধে রাখলে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান মিয়ার হস্তক্ষেপে মুক্তি পায় শিশু রানা। এ ঘটনায় রোববার রাতে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মদন থানায় একটি মামলা হয়েছে।
মামলার বাদি এমদাদুল হক বলেন, ৫ বছর আগে রানার মা মারা গেছে। রানার বাবা কাজের তাগিদে বাড়িতে তাকে না। আমারই তাকে লালন পালন করি।
আমার ভাতিজা রানা কোনো টাকা চুরি করেনি। অহেতুক তার বিরুদ্ধে একটি অপবাদ দিয়ে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। মারপিট ও মাথার চুল কেটে বাড়ির সামনে বিদ্যুৎ এর খুটির সঙ্গে শিকল দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। বিচারের আশায় থানায় মামলা করেছি।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, রুদ্রশ্রী গ্রামে চুরির অপবাদ দিয়ে রানা নামের শিশুকে নির্যাতন করার অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।