চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সংসারে আরশিয়া উমাইজা নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। তবে পূর্ণিমা-ফাহাদের সেই সংসার টিকেনি। বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তারা।
বিচ্ছেদ ভুলে ফের বিয়ে করেছেন পূর্ণিমা। পাত্র আশফাকুর রহমান রবিন। তিনি পেশায় দেশের বহুজাতিক একটি কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন রবিন। বর্তমানে তারা রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় একসঙ্গে বসবাস করছেন।
গত ২৭ মে দুই পরিবারের সম্মতিতে পূর্ণিমা-রবিনের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলেও, এতদিন সেটি গোপন ছিলো। গত বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) তাদের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসে। চলতি বছরের শেষ দিকে পূর্ণিমা-রবিনের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
গণমাধ্যমকে বিয়ের খবর নিশ্চিত করে পূর্ণিমা বলেন, ‘কাজের সূত্রেই রবিনের সঙ্গে পরিচয়। তিন বছরের পরিচয় থেকেই বন্ধুত্ব, এরপর মন দেওয়া-নেওয়া।’
এদিকে পূর্ণিমার বিয়ের খবরে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রাক্তন স্বামী আহমেদ জামাল ফাহাদ। ফেসবুকে একটি পোস্টে পূর্ণিমার নাম উল্লেখ না করে ফাহাদ লেখেন, ‘দয়া করে আমাকে টেক্সট করা বা কল করা বন্ধ করুন। সবকিছু ঠিক আছে। মানুষের জীবনে অনেক কিছু ঘটে। আমার সঙ্গে কিছু শেয়ার করার দরকার নেই। আমি জানি...তার জন্য শুভকামনা। আমার মেয়ের জন্য আপনারা দোয়া করবেন।’
এদিকে একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পূর্ণিমা বলেন, ‘সংসার ভাঙার জন্য কেউ বিয়ে করে না। পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং বোঝাপড়ার অভাবের কারণে সম্পর্ক শেষ করতে বাধ্য হয়। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে দুজনই সহনশীল হলে বিচ্ছেদের প্রশ্নই ওঠে না।’
নায়িকার দাবি, তিনি আগের সংসার টিকিয়ে রাখার বহু চেষ্টা করেছেন। তবে সফল হননি।
পূর্ণিমা বলেন, ‘আমার আগের সংসার টিকিয়ে রাখতে বারবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অপর পক্ষের অসহযোগিতা আমাকে প্রতিকূল পথে ঠেলে দিয়েছে। যেহেতু আমি কখনো বিচ্ছেদ চাইনি, তাই এ বিষয়টি সবসময় এড়িয়ে চলেছি।’
বর্তমান স্বামী রবিন প্রসঙ্গে নায়িকা জানান, ‘রবিন খুব সেক্রিফাইসিং মনের মানুষ। সে আমার চলচ্চিত্র, ব্যক্তি এবং আগের বিয়ের জীবন সম্পর্কে জেনেশুনেই আমার সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছে। ওর (রবিন) সহযোগিতায় সংসার এবং কর্মজীবন আগের মতোই সুন্দরভাবে চালিয়ে যাওয়াটাই আমার আগামী পরিকল্পনা।’