Can't found in the image content. মঠবাড়িয়ায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪ |

EN

মঠবাড়িয়ায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার

শাফিউল মিল্লাত, পিরোজপুর প্রতিনিধি | আপডেট: শনিবার, জুলাই ২৩, ২০২২

মঠবাড়িয়ায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় দুই আসামি গ্রেফতার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলায় মনির মল্লিক (৪৫) ও মোস্তফা ফইরাদী (৬২) নাম দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ। বুধবার (২০ জুলাই) মোস্তফা ফইরাদী ও শুক্রবার (২২ জুলাই) মনির মল্লিক কে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।


গ্রেফতারকৃত মনির মল্লিক উপজেলার গুলিসাখালী গ্রামের মৃত. রুপাই মল্লিকের ছেলে ও মােস্তফা ফইরাদী গােলবুনিয়া গ্রামের মৃত. আজিজ ফইরাদীর ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহা. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, বাগেরহাট জেলার নবম শ্রেনিতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রীর মা-বাবার বিচ্ছেদের পর ওই ছাত্রীর মায়ের উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে হয়। সেই সুবাদে ওই কিশােরী প্রায় সময়ই মায়ের কাছে বেড়াতে আসে। এদিকে ওই কিশোরীর সৎ বাবার পূর্ব পরিচিত মনির মল্লিক খেজুরবাড়িয়ার ওই বাড়িতে আসা-যাওয়া করতাে এবং বিভিন্ন সময় ওই কিশােরীকে বিয়ের প্রলােভন দেওয়ার পাশাপাশি উত্যক্ত করতাে। প্রায় এক মাস ধরে ওই কিশােরীকে বিয়ের প্রলােভনে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে লম্পট মনির মল্লিক কিশােরীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এ ঘটনায় ওই কিশােরীর মা শুক্রবার (২২ জুলাই) মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা করলে এস আই মিজানুর রহমান খেজুরবাড়িয়া গ্রাম থেকে মনির মল্লিককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মনির মল্লিককে শনিবার (২৩ জুলাই) আদালতে সােপর্দ করা হয়েছে।

অপর দিকে গত ১৮ জুলাই সােমবার রাতে গােলবুনিয়া গ্রামের মােস্তফা ফইরাদীর প্রতিবেশী ছােট ভাইয়ের বিধবা স্ত্রীর মােবাইলে তার সতীনের মেয়ে কল দেয়। মা-মেয়ের সাথে কথা বলাতে সে ঘরের দরজা খোলা রেখে মােবাইলটি নিয়ে সতীনের কাছে যায়। এ সুযােগে মােস্তফা ফইরাদী ওই বিধবার ঘরে ঢুকে খাটের নিচে পালিয়ে থাকে। পরে ওই বিধবা নারী বাতি নিভিয়ে শুয়ে পরলে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মােস্তফা ফইরাদী প্রতিবেশী ছােট ভাইয়ের ওই বিধবা স্ত্রীকে জার পূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায় সে চিৎকার করলে গ্রামবাসিরা ছুটে এসে মোস্তফাকে গণপিটুনি দেয়। পরে তার স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এদিকে এ ঘটনায় ওই বিধবা নারী গত ২০ জুলাই বুধবার মঠবাড়িয়া থানায় মামলা করলে মােস্তফা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সােহেল তাকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গ্রেফতারকৃত মোস্তফা ফইরাদীকে আদালতে সােপর্দ করা হয়েছে।