দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন ভেঙ্গে ইট-টিন এবং অন্যন্য মালামাল বিক্রি সহ অধিকাংশ মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
জানাগেছে, সরকারী নিয়ম অনুসারে বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবন টেন্ডারের মাধ্যমে অথবা ওপেন ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও, উপজেলার রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক সরকারী নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, কোন প্রকান নিয়মনিতির তোয়াক্কা না করে,টেন্ডার ছাড়াই বিদ্যালয়ের দুটি পুরোনো ভবন ভেঙ্গে ইট-টিন বিক্রি করেছে,এছাড়া বিদ্যালয়টির অধিকাংশ মালামাল আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়,রাঙ্গামাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় একটি নতুন চারতলা ভবন নির্মান করা হয়েছে, ফলে অকেজো হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়টির পুরোনো টিনসেটের দুটি ভবন, এই কারনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পুরোনো টিনসেটের ভবন ভেঙ্গে। নামমাত্র কিছু ইট বিদ্যালয়ের কাজে লাগিয়ে ভবনের ইট,টিন,লোহা সহ অনন্যান্য মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বলেন, নতুন ভবন নির্মান হওয়ায় এই ভবনটি মাঠের মাঝখানে পড়েছে, এই কারনে পুরোনো ভবন দুটি ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভবন টেন্ডার ছাড়াই কিভাবে ভেঙ্গে ফেলছেন জানতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষক একরামুল হক দাবী করে বলেন বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ভবন ভাংগা হচ্ছে।
এদিকে রাঙ্গামাটি গ্রামের বাস্থানীয়রা বলছেন, বিদ্যালয়টির দুটি ভবনে হাজার হাজার ইট এবং অনেক টিন ছিল যার বাজার মূল্য কয়েক লাখ টাকা। তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক তার নিজ খেয়াল খুশিমত পুরোনো ভবনটি ভেঙ্গ ভবনের ইট ও টিন আত্মসাত করেছেন এবং সেই মালামাল নিজের বাড়ীর কাজে ব্যবহার করছেন। তারা এই ঘটনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শমসের আলী মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের ভবন ভাংতে হলে প্রকৌশলী দ্বারা মূল্য নির্ধারন করে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে টেন্ডার কমিটির মাধ্যমে প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করতে হবে। কিন্তু তিনি তা করেননি।
তিনি বলেন,সরকারী নিয়ম না মেনে, বিদ্যালয়ের ভবন ভেঙ্গে ফেলা বে-আইনী। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।
এদিকে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করলে তিনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন এবং কাজ স্থগিত রাখতে বলেছেন।