ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, জুন ২৯, ২০২৪ |

EN

প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, জুলাই ১৯, ২০২২

প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ
ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও  আহাম্মেদ সানী নামে এক ধর্ষকের লালসা থেকে রেহায় পায়নি নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল শিক্ষার্থী। একবার নয় দুবার নয় টানা তিন-চার বছর ধরে চলছে এ পাষবিক নির্যাতন। বিচারের আশায় প্রহর গুণতে গুণতে মৃত্যুর পথও বেছে নিয়েছিল নির্যাতিতা ওই শিক্ষার্থী।তবুও কারো চোখে একফোটা জল ফোটেনি। পাষাণ হৃদয়ে বিচার পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসটুকুও মেলেনি কারো। 

শুধু শারীরিক প্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীই নয় একাধীক মেয়ের সাথে এ অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে লম্পট সানী। তবুও হয় না কোনো মামলা, জিডি বা অভিযোগ। বারবার-ই টাকার বিনিময়ে উপর মহলের লোকজনদের ম্যানেজ করে পাড় পেয়ে যায় এ প্রতারক। সব শেষ ঘটনাটি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শারীরিক প্রতিবন্ধীর সাথে ঘটে। 

মেয়েটির সরল বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দেয়ার হুমকী দিয়ে টানা চার বছর ধরে চলে পাষবিক নির্যাতন। 

লম্পট আহাম্মেদ সানী উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া পার্ক এলাকার সোলাইমানের ছেলে। 

প্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থী ধর্ষনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগী সহ স্থানীয় সাধারণত জনতা। 

ওই শিক্ষার্থীর পরিবার বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ছেলের পরিবারের সাথে কথা বললে উল্টো তাদেরকে শাসিয়ে দেয় সানীর মা এবং এ বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে স্বপরিবারে হত্যার হুমকী দেয়ার কথাও স্থানীয়দের অজানা নয়। 

গতকাল রাতে মেয়েটির বাড়িতে আবারও পাষবিক নির্যাতন চালায় লম্পট সানী। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা ছেলেটিকে আটক করে। 

পরে উভয় পরিবারের সাথে বোঝাপড়া করে ছেলেটির সাথে মেয়েটির বিয়ের দেয়ার কথা বলে ছেলে ও মেয়েকে প্রতারক সানীর বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। মোটা অংকের টাকায় উপর মহলকে ম্যানেজ করে ছেলের পরিবার। পরে মেয়েটির বয়স কম এ অজুহাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ল্ড কাউন্সিলর মাইন উদ্দিন। 

এ ঘটনায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা রিক্সা চালক বলেন, আমরা গরিব। নিরিহ মানুষ।  আমরা আল্লাহর কাছেই এর বিচার দিলাম।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর মাইন উদ্দিন জানান, মেয়েটির বয়স কম বলে বিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। তাই মেয়ের বাবার কাছে তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রতিবন্ধী ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলে তাদেরকে আইনের সর্বোচ্চ সহযোগীতা দেওয়া হবে।