তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন,কক্সবাজারকে আধুনিক ও স্মার্ট পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই সরকার। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলার প্রতিচ্ছবি।
শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রদানকালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তের বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নতি হয়েছে। আশা করছি আগামী ২০২৫ সালে আইসিটি রপ্তানী হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। আর কর্মসংস্থান হবে ৩০ লাখ প্রশিক্ষিত দক্ষ জনশক্তির। এ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ফ্রি-ল্যান্সার এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এর কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মেড ইন বাংলাদেশ ল্যাপটপ হস্তান্তর করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।
এরআগে সকাল ৯ টায় কক্সবাজারের রামু দক্ষিণ মিঠাছড়িতে ‘হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় কক্সবাজার-৩ আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ জানান, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক এ, কে, এ, এম, ফজলুল হক জানান, প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে প্রায় ৮.০৭ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে এখানে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অনু্ষ্ঠানে কক্সবাজার ৩ আসনের সাংসদ সাইমু সরয়ার কমল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।