ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

কর্মস্থলে ফেরা যাত্রিদের চাপ, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ মাটিরাংগায়

উপজেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, জুলাই ১৫, ২০২২

কর্মস্থলে ফেরা যাত্রিদের চাপ, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ মাটিরাংগায়
পরবর্তী স্ব-স্ব কর্মস্থলে পৌঁছার তাগিদে মাটিরাঙ্গায় বাস টার্মিনাল গুলোতে যাত্রীদের চাপ। ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনেকে গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে আসলেও নিজেদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এছাড়াও যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সারাদেশে তীব্র তাপদাহের ফলে ভোগান্তি চরম রুপ নেয়। 

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই শত শত মানুষকে বাসের অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, অগ্রীম টিকিট কাটার পরও সময়মতো বাস পাচ্ছেন না তারা। বাস না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

এছাড়া অতিরিক্ত যাত্রীর সুযোগে বাড়তি ভাড়াও আদায় করছেন তারা। মাটিরাঙ্গা থেকে চট্রগ্রাম যেতে নিয়মিত লোকাল বাস ভাড়া ছিল ১শত চল্লিশ টাকা। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের সুযোগে ২শত ৫০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। 

জানা যায়, প্রতি ১৬ মিনিট পর পর প্রতিদিন প্রায় ৪০ টি গাড়ি চট্রগ্রাম অভিমুখে যাতায়াত করে। আজ এর চেয়েও বেশি বাস সার্ভিস দেয়া হচ্ছে। তবুও যাত্রীর চাপ সামলানো যাচ্ছে না। 

যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে প্রশ্নের জবাবে মাটিরাঙ্গা জীপ সমিতির লাইনম্যান আব্দুল মালেক বলেন, এ বাসগুলো চট্রগ্রাম থেকে মাটিরাঙ্গায় ফেরার পথে যাত্রী পাবে না বিধায় তারা বাস রিজার্ভ হিসাব করে ভাড়া নেন। তিনি আরো বলেন, যাত্রীরা নিজেরাই নিজেদের দূর্ভোগের জন্য দায়ী।

অত্র এলাকার সকল যাত্রী যদি একই দিনে চট্রগ্রাম যেতে চায় তাহলে তো বাস সংকট হবেই। যাত্রীগন যদি আগে পরে সবাই কর্মস্থলে চলে যেত তাহলে কষ্ট কমতো বলে তিনি মনে করেন। 
এদিকে, টিকিট না পেয়ে উৎকন্ঠা দেখা যায় অনেক যাত্রীর মাঝে। ভালো পরিবহন না পেয়ে লোকাল বাসে করেই বাড়ি পৌঁছানোর সুযোগ খুঁজছেন।

ভাড়া বেশি হলেও গন্তব্যের বাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হুড়োহুড়ি করে উঠে পড়ছেন তারা। তীব্র রোদ, বৃষ্টি উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাটিরাংগা থেকে চট্রগ্রামে জন প্রতি ১শত টাকা করে বাসের ছাদে উঠছেন অনেকে। 

যাত্রী আব্দুল করিম চট্রগ্রামের একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন, আজই তাকে কর্মস্থলে যেতে হবে সকাল থেকে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করেও টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন নি। ফলে আজ চট্রগ্রাম যাওয়া অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে তার। 

যাত্রী রেহেনা বেগম জানান, আমি পুরো পরিবারসহ গ্রামে ঈদ করতে আসছিলাম কিন্তু চট্রগ্রাম যাবার জন্য টিকেট ক্রয় করতে চাইলে টিকেট শেষ হয়ে গেছে তাই বিকল্প কোন বাহনের খোঁজ করছি। যেভাবে হোক আজই চট্রগ্রামে যেতেই হবে বলে তিনি জানান। 

এদিকে চট্রগ্রাম ছাড়াও দেশের  বিভিন্ন প্রান্তে যাবার জন্য অগ্রিম টিকেট কাটার পরও বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় অনেক কে। তাছাড়া একই সময়ে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে টিকেট পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন।

মাটিরাঙ্গায় ইকোনো গাড়ির কাউন্টারম্যার মনির হোসেন বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী ও গরমের ফলে যাত্রীদের অস্থায়ী ভোগান্তি হতে পারে। আমাদের গাড়ি সঠিক সময়ে আসে এবং আমরা যাত্রীদের কাছ থেকে কোন ধরণের অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছি না।