কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ ও কোদালকাটি ইউনিয়নের সাতটি গ্রামের ৪৭৫ পরিবারের মধ্যে এক মাসের খাবার বিতরণ করেছে ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ।
ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা থেকে প্রথমে মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে পৌঁছান রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধি ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সোলায়মান কবীর, সহযোগী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক মো. আবু তালেব সরকার ও সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার সরকার। এ সময় ইউনিয়নের কাদেরের চর, কেন্তনতারী, শিকারপুর বাংলা বাজার ও বড়বেড় চর গ্রামে অসহায় ও হতদরিদ্র বানভাসিদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল ২৫ কেজি চাল, দুই লিটার তেল, দুই কেজি ডাল, এক কেজি চিনি ও দুই প্যাকেট সেমাই। পরে কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর, বদরপুর ও চরসাজাই গ্রামে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
এক মাসের খাবার পেয়ে ফুলমতি বেগম বলেন, ভেলামারী চর থেকে দুই নৌকা পাড়ি দিয়ে অনেক কষ্ট করে এইহানে আইছি। আমি ভাবি নাই এত খাবার দিবে।
এক মাসের খাবার পেয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে।
সোলায়মান কবীর বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃত ভুক্তভোগীরা যেন আমাদের এই ত্রাণসামগ্রী পায়। সেই উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে এখানে এসেছি। আমাদের রাজউক কলেজ যেমন মানুষ হওয়ার জন্য শিক্ষা দেয়, তেমনি যারা মানবেতর জীবনযাপন করছে তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এখানে এসেছি। এখানকার মানুষের সহজ-সরল স্বভাবের মনোভাব দেখে আমরা মুগ্ধ। তবে এখানকার মানুষ অনেক কষ্টে জীবনযাপন করেন। নিজ চোখে দেখে তাদের সামান্য সহযোগিতা করতে পেরে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ অভিভূত।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজিবপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক জাকির হোসেন, সমাজসেবক আব্দুল হামিদ, ঢুশমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।