ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

কোরবানি ঈদে সেরা আর্কষণ বাবু রাজের দাম হাকাচ্ছেন ১০ লাখ

মো. জসিম উদ্দিন, কলমাকান্দা প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, জুলাই ৫, ২০২২

কোরবানি ঈদে সেরা আর্কষণ বাবু রাজের দাম হাকাচ্ছেন ১০ লাখ
এবারের কোরবানি ঈদে নেত্রকোণার  কলমাকান্দা উপজেলার বিষমপুর গ্রামের সেরা আকর্ষণ বাবু রাজ।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের বিষমপুর এলাকার  সাইফুল ইসলাম শখ করে গরুর নাম রেখেছেন বাবু রাজ । ফ্রিজিয়ান ক্রস  জাতের বাবু রাজ  নামের এই বিশাল ষাঁড়টির গায়ের রং লাল কালো মিশ্রিত,ওজন প্রায় ১ হাজার কেজি (২৫মণ),দাম চাওয়া হচ্ছে ১০ লাখ টাকা।ভালো দাম পাওয়া আশায় প্রায় তিনবছর ৪ মাস ধরে নিজের সন্তানের মতো লালন পালন করে আসছেন সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন।চলতি বছরের ঈদুল আজহায় হাটে বিক্রি করবেন বলে আশা তার। তবে এই বন্যা দূর্ভোগ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়  বাবু রাজের বিক্রি নিয়ে  বেশ শঙ্কায়  পড়েছেন কৃষক সাইফুল ইসলাম। 

গরুর মালিক সাইফুল জানান,ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেই আমার তিন বছর আগের ১২০০০০ (এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা)  দিয়ে ফ্রিজিয়াম ক্রস জাতের প্গরুটিকে ক্রয় করে  বর্তমানে তিনি লালন পালন করেছেন। 

বাবু রাজকে দেখাশোনা করেন ২ জন লোক।দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটি বিশালকৃতির মহিষ।উচ্চতা ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি, লম্বা ৯ ফিট,দাত ৮টি। লম্বা ও উচ্চতা একটি মহিষের থেকেও অনেক বড়। খাবারের জন্য প্রতিদিন প্রায় ৭০০  টাকা ব্যয় হয়। খাবারের তালিকায় আছে প্রতিদিন প্রায় নাফিস গুটি ,গমের ভুসি, ডাল, এবং সবুজ কাঁচা ঘাস সহ বিভিন্ন খাবার।তিনি আরও বলেন,ফ্যানের বাতাস ছাড়া থাকতে পারেনা ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়।বিদ্যুৎ না থাকলেও বাবু  জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও করা হয়েছে।প্রতিদিন দুইবার করে গোসল করাতে হয়।গোসলের পর আবার শুকনা কাপড় দিয়ে শরীরের পানি মুছে ফেলতে হয় যাতে ঠান্ডা না লেগে যায়।

তিনি আরোও বলেন,গরুটির দাম চাচ্ছেন ১০ লক্ষ তবে ৯ লক্ষ  হলেও বিক্রি করে দিবেন।অনেক ক্রেতারাই ভিড় করছেন।তবে যে কেউ আসলে গরুটি দেখে পছন্দ হলে কিনে নিতে পারবেন।

আরও বলেন,আমার এ পর্যন্ত ৩ লক্ষ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।মনমতো দাম পেলে বাড়ি থেকেই বিক্রি করব। নয়ত ঢাকার নতুন বাজার এলাকায় নিয়ে যাব।

সাইফুল ইসলামের  স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী অনেক সৌখিন মানুষ।নিজের সন্তানের মতো করে গরুটি লালন-পালন করেছেন।গরুটি আমাদের কাছে খুবই আপন হয়ে গেছে।ওকে বিক্রি করলে খুব কষ্ট লাগবে।কিন্তু বিক্রি তো করতেই হবে।সে ক্ষেত্রে যদি ভালো দাম পাই তা হলে কষ্ট কিছুটা কমবে।

সাইফুল ইসলামের ভাই ইলিয়াস মিয়া বলেন,এই গরুটিকে গোসল করাতে গিয়ে কষ্ট হয়নি।তার চরিত্র ছিল একেবারে শান্ত।তাকে বিক্রি করলেও বড় কষ্ট লাগবে।কিন্তু সারা জীবনত রাখা যাবেনা বিক্রি করতেই হবে।