ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বাসিন্দারা। গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজিবপুর উপজেলার মানুষের জনজীবন। দিনে ১২-১৪ বার বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন সাধারণ ব্যাপার। তবে গত কিছুদিন ধরে এর মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। এতে করে সকল কাজ বিঘ্নিত হচ্ছে।
ইদানীং লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়ায় রাজিবপুরের মানুষ বলতে শুরু করেছে, 'এখানে প্রায় সময় বিদ্যুৎ থাকে না, মাঝে মাঝে আসে।'
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং-এর মাত্রা খুবই বেড়েছে। দিনে ১২-১৪ বার করে যাওয়া-আসা করছে। এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকলে, কোথাও কোথাও ৩-৪ ঘণ্টা লোডশেডিং থাকছে। এমনিতেই ভ্যাপসা গরম, তার ওপর বিদ্যুতের এমন যাওয়া-আসায় বিরক্তি সৃষ্টি হচ্ছে জনমনে।
কাচারীপাড়া গ্রামের এক নারী জানান, বিদ্যুৎ যাওয়া মাত্রই গরমে কোলের শিশু ছটফট করছে, রাতে ঘুমাতে পারছেনা হটাৎ হটাৎ গরমে কেদে উঠছে, সারা রাত ঘুমাতে ঘুমাতে পারছিনা বিদ্যুতের জন্য। ছাত্রছাত্রীরা পড়ালেখা করতে পারছে না।
লোডশেডিং এর কারনে বাসাবাড়ীসহ সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমসহ উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। রাজিবপুর পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক ফারুক আহেম্মেদ জানান, ঘন ঘন লোডশেডিং ও ভোল্টেজ কম থাকার কারনে ফ্রিজের খাবার মাঝে মাঝেই নষ্ট হয়।
চর রাজিবপুর পল্লী বিদ্যুতের সহকারী জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সল্পতার কারনে আমরা বিদ্যুত কম পাচ্ছি, তাই ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে।