পাত্রী দেখে বাড়ি ফেরার পথে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বুড়াইচ ইউনিয়নের এক নারী সদস্য (মেম্বার) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (০৩ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী নারী মেম্বার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের ওই মেম্বার শনিবার (০২ জুলাই) বিকালে বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা ইউনিয়নের অমৃতনগর গ্রামে এক আত্মীয়ের জন্য পাত্রী দেখতে যান। পাত্রী দেখা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে অমৃতনগর বটতলা এলাকায় দিক হারিয়ে ফেলেন। ওই সময় ওই স্থানে বসে থাকা কয়েকজন যুবককে তিনি বলেন আমি বুড়াইচ যাবো, আমাকে পথ দেখিয়ে দেন। এ সুযোগে তারা মেম্বারকে পাশের একটি ক্ষেতে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর ফেলে রেখে যায়। পরে অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
রবিবার সকালে ওই মেম্বার থানায় গিয়ে বিষয়টি ওসিকে জানান। দুপুরে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত মাহাবুব আলম (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাহাবুব বোয়ালমারী পৌর এলাকার রায়পুর গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল উঠেপড়ে লাগে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় প্রভাবশালী মহল ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, মহিলা মেম্বার বিষয়টি জানানোর পরই ঘটনায় জড়িত মূলহোতা মাহাবুব আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
ওসি আরও বলেন, দুপুরে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মেম্বারকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতে এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, এ ঘটনায় মহিলা মেম্বার থানায় মামলা করেছেন। প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।