ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, জুলাই ৫, ২০২৪ |

EN

কোরবানির পশুর হাটে রোহিঙ্গা ক্রেতাদের দাপট

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: রবিবার, জুলাই ৩, ২০২২

কোরবানির পশুর হাটে রোহিঙ্গা ক্রেতাদের দাপট
কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়ার কোরবানির পশুর হাটগুলোতে রোহিঙ্গা ক্রেতার দাপট দেখা গিয়েছে। হাটের বেশিরভাগ পশু তারাই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কাছে পশু বিক্রিতে লাভ বেশি বলে ক্যাম্পের আশপাশে বসছে পশুর হাট। ফলে এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষরা কোরবানির পশু সংকটে পড়তে পারে।

জানা গেছে, উখিয়ার দারোগা বাজার, মরিচ্যাবাজার, রুমখাঁ বাজার, কুতুপালং বাজার, বালুখালী বাজার, থাইংখালী বাজার ও ফালংখালী বাজারে প্রচুর পশু বিক্রি হচ্ছে। এসব হাটের বেশির ভাগ ক্রেতা রোহিঙ্গা। 

উখিয়ার হাতিমুরা এলাকার গরু ব্যবসায়ী মো. আলম বলেন, গর্জনিয়া থেকে মাঝারি আকারের ৪ গরু নিয়ে উখিয়া বাজারে এসেছিলাম। সবগুলো গরু রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করেছি। 

এরশাদ উল্লাগ নামে এক মহিষ বিক্রেতা বলেন, চট্টগ্রামের সরকারহাট থেকে ৩টি মহিষ এনেছিলাম। বালুখালী ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা দুটি মহিষ কিনে নিয়ে গেছে।

উখিয়া বাজারের ইজারাদার জানিয়েছেন, কোরবানির বাজারে বিক্রি জমে উঠেছে। তবে ক্রেতা বাংলাদেশি না রোহিঙ্গা তা নিশ্চিত নয়। 

উখিয়ার মরিচ্যা পশুর হাটের চিত্রও একই। কোরবানির জন্য প্রচুর গরু-মহিষ বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ গরু রোহিঙ্গারা কিনে নিয়ে গেছে। 

বেলার উখিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদ বলেন, রোহিঙ্গারা এখন প্রচুর টাকার মালিক। ক্যাম্পে  ইয়াবার ব্যবসা করে অনেক টাকার মালিক হয়ে গেছে। তাই তারা নিজের টাকায় কোরবানি দিতে শুরু করেছে। 

উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, গরু কিনতে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে আসা বন্ধ করতে হবে। যেভাবে বাজার থেকে রোহিঙ্গারা গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে, তাতে করে স্থানীয়দের মধ্যে কোরবানির গরুর সংকট তৈরি হবে।

উখিয়ার ফালংখালী ইউনিয়ন পরিষদেন চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, কয়েকজন প্রভাবশালী রোহিঙ্গাদের কাছে গরু বিক্রির জন্য থাইংখালী ও বালুখালী ক্যাম্পের পাশে অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসিয়েছেন। এই হাটগুলোর কোনো বৈধ অনুমোদন নেই। হাট থেকে ইজারার নামে চাঁদাবাজি করছে প্রভাবশালীরা।