ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চরাঞ্চল থেকে ভুয়া চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করার অভিযোগে চারজন অপহরণকারিকে গ্রেফতার করেছে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ জানান, জনৈক মোঃ কাউছার হামিদ (২৭), পিতা-আবুল কাশেম, সাং-লোহাগড়, থানা-ফরিদগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুর থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, গত দুই মাস আগে সাপ্তাহিক চাকুরীর খবর পত্রিকায় প্রতিবন্ধী বিষয়ক সংস্থায় চাকুরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া।
বিজ্ঞপ্তির নিয়ম অনুযায়ী অফিসার ইনচার্জ পদে জীবন বৃত্তান্ত প্রেরণ করেন। পরবতীতে গত ২৮/০৬/২০২২ তারিখ ভুক্তভোগীকে মোবাইল ফোনে তার চাকুরী হয়েছে বলে জানায় এবং ভিকটিমকে ময়মনসিংহে আসতে বলে। গত ২৯/০৬/২০২২ তারিখ বিকাল অনুমান সাড়ে ৪টায় ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে ভিকটিম আসলে আসামী মোঃ সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাষ্টার (৩৪), মোঃ শাহজাহান মিয়া (৩৫), উভয়পিতা- মৃত সেকান্দর আলী, সাং-ভাংনামারী সুতিরপাড়া মুন্সিবাড়ী, থানা-গৌরীপুর, জেলা-ময়মনসিংহদ্বয় ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়র্ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ভাবে একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরণ করে। তাদের গৌরিপুরের ভাংনামারী সুতিরপাড়া মুন্সিবাড়ী আসামীদের বসত বাড়ীর একতলা ছাদ বিল্ডিং এর পশ্চিম দক্ষিণ কক্ষে নিয়ে আটক করে রাখে। আসামী অপহরণকারিরা মারপিট করে ভিকটিমের নিকট তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। তখন ভিকটিম মারপিট ও খুন জখমের ভয়ে তার মাকে টাকা দেওয়ার জন্য বললে গত ৩০/০৬/২০২২ তারিখ বিকাল অনুমান সাড়ে ৪টায় এক লাখ টাকা ভিকটিমের মা বিকাশ করে পাঠায়।
অপহরণকারিরা ভিকটিমকে মারপিট করে তার পকেটে থাকা নগদ আরো ৭হাজার নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম অপহরণকারিদের নিকট হতে মুক্তি পেয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় এসে অভিযোগ করেন। কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ এর নির্দেশে এসআই নিরুপম নাগ একটি টিম নিয়ে ময়মনসিংহ জেলার ভাংনামারী সুতিরপাড়া মুন্সিবাড়ী আসামীদের বাড়ি হতে আসামীদের গ্রেফতার করে। ভিকটিমের দেখানো মতে অপহরণকারিদের বসতবাড়ি একতলা ছাদ বিল্ডিং এর পশ্চিম দক্ষিণ কক্ষ হতে ভিকটিমকে মারধর করার ০১টি বেতের লাঠি, বেধে রাখার নাইলনের রশি, ০১টি ওয়ালটন বাটন সেট, ভিকটিমের নিকট হতে নেওয়া ৭ হাজার টাকা এবং অপহরণ কাজে জড়িত ০১টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় তদন্তে জানা যায়, ধৃত অপহরণকারিরা দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে আটকিয়ে মারধর করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। পূর্বেও এই ধরনের ঘটনায় আসামী মোঃ সাবিকুর রহমান ওরফে শফিক মাষ্টার (৩৪) কোতোয়ালী থানায় গ্রেফতার হয়েছিল।