এবার কোরবানির পশুর হাট বসাতে হলে ১৭টি শর্ত মানতে হবে। এসব শর্তের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ৪টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দিয়েছে।
এসব হাটগুলো বসবে ঈদুল আজহার ১০ দিন আগে। এছাড়া নগরে আরও ৩টি স্থায়ী হাট রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, নগরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও হাট বসাতে হলে ১৭টি শর্ত মানতে হবে৷ অন্যথায় হাট বসানো যাবে না। হাট বসানোর জন্য নগর ও উপজেলায় আমাদের কাছে অনেকগুলো আবেদন জমা পড়েছে। সেগুলো থেকে যাচাই-বাছাই করে নগরে ৪টি অস্থায়ী হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছি।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে নগরে যে তিনটি স্থায়ী হাট রয়েছে, সেগুলো হচ্ছে- সাগরিকা বাজার, বিবিরহাট ও পোস্তারপাড় ছাগলের হাট। নতুন অনুমোদন পাওয়া অস্থায়ী হাটগুলো হলো- কর্ণফুলী গরুর বাজার, সল্টগোলা রেলক্রসিং সংলগ্ন হাট, দক্ষিণ পতেঙ্গার বাটারফ্লাই পার্কসংলগ্ন খালি মাঠ ও পতেঙ্গা লিংক রোড সংলগ্ন খেজুর তলা মাঠ।
অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর ক্ষেত্রে ১৭টি শর্ত হলো:
অস্থায়ী পশুর হাট-বাজার প্রধান সড়ক থেকে ন্যূনতম ১০০ গজ দূরে সুবিধাজনক স্থানে বসাতে হবে। যাতে কোনো অবস্থায় প্রধান সড়কের যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয়। পশুর হাটের মাঠের চৌহদ্দির বাইরে এবং রাস্তায় কোনো পশু রাখা যাবে না বা খুঁটি স্থাপন করা যাবে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও বিস্তার প্রতিরোধে পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, প্রবেশ ও বাহির পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং সাবান-পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। হাটে একদিকে প্রবেশ এবং অন্যদিকে বের হওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাতে জটলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। এছাড়া বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিরুৎসাহিত করতে হবে। অনলাইনে পশু ক্রয়-বিক্রয়কে উৎসাহ প্রদান এবং হাটে ইজারাদাররা নিজস্ব পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করবেন। হাটে পশুর সুস্থতা যাচাইয়ে ভেটেরিনারি চিকিৎসকের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। বাজার এলাকা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম বাংলানিউজকে বলেন, করোনার সংক্রমণ কম হওয়ায় ১৭টি শর্তের ভিত্তিতে নগরে অস্থায়ী ৪টি পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যে পশুর হাটগুলো বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই সব শর্ত মানতে হবে এবং হাটগুলোর কারণে কোনভাবেই সড়কে যানজট সৃষ্টি করা যাবে না।