পানি পুরোপুরি নামার আগেই সুনামগঞ্জে আবারও বাড়তে শুরু করেছে বন্যার পানি। গতকাল সোমবার থেকে বৃষ্টি হওয়ায় সুরমা নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে তা বিপৎসীমার নিচে অবস্থান করছে। এ সময় জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৮ মিলিমিটার।
সোমবার (২৭ জুন) দিবাগত রাতে ও মঙ্গলবার (২৮ জুন) সকাল থেকে সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলায় থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, পানি কিছুটা বাড়লেও আগের মতো পরিস্থিতি হবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টা থেমে থেমে হালকা বৃষ্টি হবে।
এদিকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টি হওয়ার কারণে পাহাড়ি ঢল নামছে দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলায়। যার কারণে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত আছে। নদ-নদী ও হাওর পানিতে টইটম্বুর থাকায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে দোয়ারাবাজার উপজেলার নিম্নাঞ্চল আবারও প্লাবিত হয়েছে।
বোগলা ইউনিয়নের আন্ধারীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হাসান জানান, সোমবার রাত থেকে ঢল নামছে। চেলার নদীর ইদুকোন ও আলমখালি দিয়ে পানি ঢুকছে। এখানে বন্যায় আগেই বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, গতকাল থেকে ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি পাত হচ্ছে। ফলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দোয়ারাবাজার ও ছাতক আগে থেকেই পানিতে নিমজ্জিত থাকায় পানি কোথাও বের হওয়ার জায়গা না পেয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার কিছু কিছু নিম্নাঞ্চলে ঢুকছে। তবে বন্যা পূর্ভাবাস তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।