দখিণের জেলা ঝালকাঠির চারটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক মহাসড়ক সেজেছে বর্ণীল সাজে। শহরের রাস্তার মোরে মোরে বানানো হয়েছে তোরণ। উৎসবের আমেজ সার্বজনীন মানুষের হৃদয়ে। কারন রাত পোহালে খুলে দেয়া হবে পদ্মা সেতুর দুয়ার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতেও যাবে এই জেলার পাঁচ হাজার মানুষ।
আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড টানানো হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। দলীয় নেতারা বলছেন দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবর সর্বস্তরে জানান দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে।
ঝালকাঠি চেম্বার অব কমার্স এর পক্ষ থেকে পৌর শহরের প্রবেশদ্বারে ঝলমলে বাতি এবং রঙিন পতাকা দিয়ে সু-সজ্জিত করা হয়েছে। পুলিশ লাইন সংলগ্ন সুতালড়ি ব্রীজের দুই ধারে জাতির পিতা, প্রধানমন্ত্রী এবং স্থানীয় সাংসদের ছবি দিয়ে শোভাবর্ধন করা হয়েছে।
পদ্মাসেতু দেখার জন্য এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদিতে এই জেলা থেকে পাঁচ হাজার মানুষ যাবে মাওয়ায়। ঝালকাঠির দুটি সংসদীয় আসন থেকে পৃথক দুটি লঞ্চ ২৪ তারিখ রাতে ছেড়ে যাবে কাঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশ্যে। ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু এবং ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন আগ্রহীদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিয়ে যেতে।
তবে পুরো আয়োজন দেখভাল করছেন জেলা আওয়ামীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির। দলটির এই নেতা ফ্রিডমবাংলাকে জানান ‘২৪ তারিখ শুক্রবার রাত ৮ টায় ঝালকাঠি লঞ্চটার্মিনাল থেকে মাদারীপুরের কাঠালবাড়ী ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে সুন্দরবন-১২ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চ। ঘাট ছাড়ার পরে নলছিটি উপজেলায় লঞ্চটি ভীড়বে সেখানকার যাত্রী নেয়ার জন্য। এর আগে দুপুরে কাঠালিয়া উপজেলা লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা লঞ্চঘাটে ভীড়বে ফারহান-৭ নামের আরো একটি লঞ্চ। সেখান থেকে বিকেলে যাত্রী নিয়ে ঝালকাঠি হয়ে একসাথে পদ্মার উদ্দেশ্যে যাবে এই জেলার পাঁচ হাজার মানুষ।’ সকলের জন্য ভাড়া এবং চার বেলা খাবার ফ্রি করা হয়েছে বলেও জানান সাইফুল্লাহ পনির।
এদিকে সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় আতবাজী ওড়ানো হবে ঝালকাঠির শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়ামের আকাশে। একইসাথে ঝালকাঠি এবং খুলনার শিল্পীদের সমন্নয়ে পরিবেশিত হবে ব্যান্ড সঙ্গীত। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছেন। দু‘দিন আগেই মিনি ষ্টেডিয়ামটি সাজানো হয়েছে। দর্শকদের তাবু ও অনুষ্ঠান মঞ্চের মাঝখানে বসানো হয়েছে কাঠের তৈরী পদ্মা সেতুর মডেল। এখানে বড় পর্দায় আমন্ত্রীত অতিথি এবং দর্শকদের দেখানো হবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।