পিরােজপুরের মঠবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে প্রতিপক্ষের ধারালাে অস্ত্রের আঘাতে নিহত দুলাল হাওলাদার (৩৪) হত্যা মামলার প্রধান আসামী রমজান (২৩) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ জুন) রাতে বরিশাল জেলার উজিরপুর থানা পুলিশের সহযােগিতায় উজিরপুর শহর থেকে মঠবাড়িয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সরােয়ার হােসেন তাকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত রমজান (২৩) উপজেলার দক্ষিণ মিঠাখালী গ্রামের মৃত. আব্দর রব হাওলাদার ওরফে লাদেন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় এর আগে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, হত্যাকান্ড ঘটার কিছুদিন আগে নিহত দুলালের ভাইপাে শিশু বেল্লাল (৫) এর সাথে প্রতিবেশী রেবা বেগমের পুত্র ইফাত (১০) এর পুকুরে সাঁতার কাটা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্য ঝগড়া হয়। পরবর্তীতে যা চরম আকার ধারন করে। ওই বিরােধের জের ধরে গত ৫ মে বৃহস্পতিবার সকালে নিহত দুলালের ছােট ভাই ইজিবাইক চালক হেলাল বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ ওই রেবা বেগমের ভাই রমজান, ফয়সাল ও চাচাত ভাই ওমর হেলালকে মারধর করে। বিকেলে দুলাল প্রতিপক্ষের কাছে ছােট ভাই হেলালকে মারধরের কারন জানতে চাইলে কিশাের গ্যাং সদস্য রমজান (২৩), ওমর (১৮), ফয়সাল (২৮) সহ ৭-৮ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে দুলালকে এলােপাথারী পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত দুলালকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে দুলালকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুলাল শেবাচিম হাসপাতাল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত দুলালের পিতা কুটি মিয়া বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (৫ মে) রাতে কিশাের গ্যাং রমজান, ফয়সাল, ওমর সহ ৬ জন নমীয় ও অজ্ঞাত তিন জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বাদল জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে আসামীর আবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত রামজানকে বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যা কান্ডের ঘটনায় জড়িত বাকি আসামীদের সনাক্তকরণ ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।