Can't found in the image content. পাঁচবিবিতে বিদেশী মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন দু’ভাই | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

সোমবার, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ |

EN

পাঁচবিবিতে বিদেশী মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন দু’ভাই

সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার | আপডেট: মঙ্গলবার, জুন ২১, ২০২২

পাঁচবিবিতে বিদেশী মিশ্র ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন দু’ভাই
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা রতনপুর গ্রামের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং সামগ্রী ব্যবসায়ী প্রকৌশলী মাহবুব আলম রব্বানী ও তার ছোট ভাই বিমানবাহিনীর সার্জেন্ট মামিনুর সরকার রনি দু’ভাই মিলে গ্রামের বাড়িতে বিদেশী নানান জাতের গড়ে তুলেছেন ফলের বাগান।

ব্যবসার কারনে দেশ-বিদেশ অবস্থান করলেও শখের বসে গ্রামের বাড়িতে বাবার পৈত্রিক সম্পতি ১০ বিঘা জমিতে গড়ে তোলেন উন্নতমানের বিদেশী জাতের মিশ্র ফল বাগান। তারা ব্যবসার ও চাকুরীর কারনে শত ব্যস্ত থাকলেও বাগানের খবর নেয় প্রতিনিয়ত।এতে ১০-১২ লক্ষ টাকা খরচ হলেও কয়েকজন শিক্ষিত বেকার যুবকের হয়েছে কর্মসংস্থান। পরিশ্রম ও সততা থাকলে সফলতাও আসবে মন্তব্য প্রকৌশলী রব্বানীর।

দু’ভাইয়ের বিদেশী ফল বাগানে শোভা পাচ্ছে থাইলেন্ডের ব্যানানা মাংগ, কিং অব চাকাপাত, কিউজাই ও গৌরমতিসহ বিভিন্ন জাতের আম। তুর্কি দেশের মায়ার লেমন,দার্জিলিংয়ের কমলা, চায়নার প্যাশেন ফ্রুট ও পামেলো ফল। এছাড়া বাগানে রয়েছে আপেলকুল, বলসুন্দরী,থাই-পেয়ারা ও ছোট আকারের নারিকেলসহ দেশী-বিদেশী নানান জাতের ফল গাছে ভরপুর বাগানটি। বাগানে বিভিন্ন আকৃতির বিভিন্ন রংয়ের আম, পামেলো, প্যাশেন ফ্রুট, লেমন, কমলায় গাছের ডালে ডালে ঝুলছে। এসব ফল যেমন মিষ্টি ও পুষ্টিগুণে ভরপুর অপরদিকে বাজারেও বেশ চাহিদা এবং মূল্য অধিক।

রিপন ও বাবলু প্রতিটি আম পলিথিন প্যাকেট দিয়ে ঢেকে রাখছেন ফরমালিন মুক্তর জন্য। বাগানে সাড়ে চার’শ বিদেশী আম গাছের পাশাপাশি সব মিলে প্রায় দু’হাজার ফল গাছ রয়েছে। ইসলাম ও মারুফ কলম পদ্ধতিতে বাগানেই বিদেশী ফলের চারা তৈরী করছেন। স্বল্প মূল্যে এসব চারা বাগান থেকেই বিক্রয়ও করছেন।গরু-ছাগলের হাত থেকে বাগান রক্ষায় জিআই তার সিমেন্টের খুঁটি পুতিয়ে শক্ত করে বেড়া দেওয়া হয়েছে।অপরদিকে বাগানের ফল দিন-রাত পাহারা দেওয়া হচ্ছে।কিছুটা আধুনিকমানের ফল বাগানটি ও প্রতিটি গাছের ডালে থরে থরে ধরা বিভিন্ন রং ও আকৃতির ফল দেখতে অনেকেই আসছেন। অনেকেই কলম পদ্ধতির উৎপাদিত বিদেশী ফলের চারাও কিনছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফর রহমান বলেন,প্রতিটি বিদেশী ফলের যেমন অধিক পুষ্টিগুন তেমনি বাজারে চাহিদাও অধিক। আমরা কৃষি-বিভাগ উপজেলার সকল ধরনের চাষী ও বাগান মালিকদের সর্বাত্যক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি বলেও জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।