পঞ্চগড়ে প্রায় ২২ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলো পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সোমবার দুপুরে ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নে আনুষ্ঠানিক ভাবে রোলার মেশিন দ্বারা এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সোহরাব হোসেন।
প্রধান অতিথি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সোহরাব হোসেন বলেন, সীমান্তে চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধে নিরলসভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটি করে যাচ্ছে বিজিবি। আপনারা জানেন যে বাংলাদেশের বিশাল সীমান্তে চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য পাচার রোধ করা যদিও এটি চ্যালেঞ্জিং বিষয়। তবে বিষয়টিকে আমি পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক দ্বায়িত্ব বলে মনে করি। আজকের এই মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ থেকে যুব সমাজকে আমরা একটা ম্যাসেজ দিতে চাই যে মাদককে না বলুন, জীবনকে ভালবাসুন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও সেক্টরের পরিচালক লেঃ কর্ণেল জাহিদুল ইসলাম, পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাহফুজুল হক, সহকারী পরিচালক হাচানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জয়শ্রী রাণী রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) এসএম শফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তুষার কুমার ব্যানার্জী, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ম্যানেজার তুষার কান্তি রায় সহ বিজিবির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিজিবি সূত্রে জানাযায়, ১৮ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন ১৩৫ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী থেকে ২০২২ সালের ৩১ মে পর্যন্ত চোরাচালান হয়ে আসা বিভিন্ন সময় বিজিবির হাতে বিপুল পরিমাণে মাদকদ্রব্য আটক হয়। যার মধ্যে ১ হাজার ৬০৪ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল, ৯০০ টি বিভিন্ন প্রকারের ভারতীয় অবৈধ ওষুধ ও ১ হাজার ১৭ প্যাকেট মদ, ৯৯৫ টি বিভিন্ন প্রকারের ভারতীয় অবৈধ ইনজেকশন রয়েছে। যার আনুমানিক মূল্যে ২১ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।