ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

নেছারাবাদে যুবক খুনের মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন

শাফিউল মিল্লাত, পিরোজপুর প্রতিনিধি | আপডেট: মঙ্গলবার, জুন ২১, ২০২২

নেছারাবাদে যুবক খুনের মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় জাকির হোসেন (২৩) নামের এক যুবককে খুনের দায়ে বাদশা শেখ  (৫২), তার ভাই কাইউম শেখ (৪৫) নামের দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সোমবার (২০ জুন) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহা. মুহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত বাদশা শেখ ও কাইউম শেখ নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান শেখের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের আব্দুর রশিদ বাড়ির সীমানার নিয়ে বাদশা শেখের পরিবারের বিরোধ রয়েছে।২০১২ সালের ৩০ অক্টোবর বিকেলে স্থানীয় কামালের চায়ের দোকানের বিরোধের জমি নিয়ে সালিস হয়। সালিস চলাকালে আব্দুর রশিদের ছেলে জাকির হোসেনের সঙ্গে আসামিদের ঝগড়া হয়। এসময় আসামিরা আব্দুর রশিদ ও তাঁর তিন ছেলে জাকির হোসেন, মো. সুমন ও মামুন হোসেনকে মারপিট করেন। আসামি বাদশা শেখের লাঠির আঘাতে জাকির হোসেনকে মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর আহত জাকির হোসেন কে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন ৩১ অক্টোবর জাকির হোসেনের উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ নভেম্বর দুপুরে সে মারা যান। ২ নভেম্বর নিহত জাকির হোসেনের বাবা আব্দুল মিয়া বাদী হয়ে বাদশা শেখকে প্রধান আসামি করে ১২ জানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর মামলাটি তদন্ত শেষে পিরোজপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) প্রশান্ত কুমার দে সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সরকারি আইনজীবী (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন। আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস।

সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) খান মো. আলাউদ্দিন বলেন, ২৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ প্রমাণের ভিত্তিতে বিজ্ঞ আদালত ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে। আমরা এ রায়ে সন্তোষ্ট।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এ্যাড. কানাই লাল বিশ্বাস বলেন, আমরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। তাই আমরা এই মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।