জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
সিলেটের
গোয়াইনঘাটে নদীর পাড়ে মুর্তাবেতগাছ
লাগানো নিয়ে বিরোধের জেরে
মালেকা বেগম ও হাসিনা
বেগম নামের দুই নারীকে কুপিয়ে
হত্যার ঘটনায় একজনের ফাঁসি এবং অপর একজনকে
তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত মখলিছ ওরফে মখন (৫৫)
গোয়াইনঘাট উপজেলার পানথুমাই গ্রামের মৃত আছকর আলীর
ছেলে। এ ছাড়া তাঁর
স্ত্রী রাহেলা বেগমকে (৪৮) তিন বছরের
সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার
টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
জরিমানা পরিশোধ না করলে তাঁকে
আরও ছয় মাস কারাভোগ
করতে হবে।
আজ
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের জেলা ও দায়রা
জজ মো. বজলুর রহমান
এ রায় দিয়েছেন বলে
জানান সিলেট জেলা ও দায়রা
জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম
উদ্দিন।
মামলার
নথির বরাত দিয়ে পিপি
অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন জানান, ২০১৪ সালের ২৫
এপ্রিল দুপুরে স্থানীয় পিয়াইন নদীর পাড়ে মুর্তাবেতের
বাগানে কাজ করতে যান
গোয়াইনঘাট উপজেলার পানথুমাই গ্রামের জমসু মিয়ার স্ত্রী
মালেকা বেগম (৫০) ও আজির
উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা বেগম (৪৫)। মুর্তাবেতের
বাগানটি নিয়ে একই গ্রামের
মখলিছ আলী ওরফে মখনের
সঙ্গে আগে তাঁদের বিরোধ
ছিল। এই বিরোধের জেরে
ওই দিন দুপুর ১২টার
দিকে মখলিছ মিয়া কোদাল দিয়ে
কুপিয়ে মালেকা বেগম ও হাসিনা
বেগমকে হত্যা করেন। এ সময় মখলিছের
স্ত্রী রাহেলা বেগম কোদাল লুকিয়ে
রেখে মামলার আলামত নষ্ট করার চেষ্টা
করেন।
ঘটনার
পরদিন নিহত হাসিনা বেগমের
ছেলে আব্দুস সবুর বাদী হয়ে
চারজনকে আসামি করে গোয়াইনঘাট থানায়
মামলা করেন।
দীর্ঘ
তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত
কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মশিউর রহমান ২০১৬ সালের ১৩
এপ্রিল দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে অপর দুজনের সংশ্লিষ্টতা
না থাকায় তাঁদের চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া
হয়। এ মামলায় ১৯
জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
আসামির
দ্রুত ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানিয়ে মামলার
বাদী আব্দুস সবুর বলেন, `মুর্তাবাগানের
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে
আমার মা ও চাচিকে
নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। দীর্ঘদিন
পরে মামলায় রায় হলেও মূল
অপরাধীর ফাঁসির রায় হওয়ায় আমার
পরিবার সন্তুষ্ট।'