গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসসহ নানা দাবী নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পে বিক্ষোভ করছে রোহিঙ্গারা।
রোববার (১৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, লম্বাশিয়া, টেকনাফের শালবাগান, নয়াপাডা, লেদাসহ ৩৪টি ক্যাম্পে এক যোগে বিক্ষাভ শুরু হয়।
মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে বিশ্ব নিজের দেশ ফিরিয়ে দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানাচ্ছে রোহিঙ্গারা। 'ব্যাক টু হোম' শ্লোগানে এই বিক্ষোভে লাখো রোহিঙ্গা অংশগ্রহন করছে।
এসময় বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ১৯দফা দাবি তুলে তুলে ধরেছে রোহিঙ্গা নেতারা। এসব দাবি বাস্তবায়ন করা হলে রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে গিয়ে নিরাপদভাবে বসবাস করতে পারবেন বলে মনে করছে রোহিঙ্গারা।
দাবীগুলো হলো, রোহিঙ্গাদের রোহিঙ্গা বলেই ডাকতে হবে, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রত্যাবাসন হতে হবে, সীমিত সময় রাখা যাবে মিয়ানমার ট্রানজিট ক্যাম্পে, প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে হবে, প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করতে হবে গ্রামে গ্রামে, প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত প্রত্যেক চুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ওআইসি, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, বাংলাদেশ, এনজিও, সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, বার্মার ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইন বাতিল, সম্পত্তি ফেরত, স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকারসহ ইত্যাদি।
এদিকে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ ঘিরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ক্যাম্প আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ এপিবিএন এর পাশাপাশি সাদা পোশোকে বিভিন্ন সংস্থার বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
প্রসঙ্গত:২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জঘন্য নৃশংসতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকেরা নির্যাতিত হয়ে জোরপূর্বক বাংলাদেশে বিতাড়িত হয়েছিল যা ইতিহাসে রোহিঙ্গাদের সবচেয়ে ভয়াবহ দেশত্যাগ হিসেবে বিবেচিত।