পঞ্চগড়ে পৃথক ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পঞ্চগড় সদরে ২ জন ও তেতুঁলিয়ায় ১জন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের আজাদপুর এলাকায় ডিসলাইনের ক্যাবলের সংযোগ বিছিন্ন করতে গিয়ে শহিদুল ইসলাম (৪০) নামে এক ব্যক্তি বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়। তাৎক্ষনিক তাঁকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত শহিদুল ঐ এলাকার মৃত কানজু মোহাম্মদের ছেলে।
এদিকে পঞ্চগড় পৌর এলাকার তেলীপাড়ায় মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় জহিরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এসময় গুরুতর আহত হন নিহতের ছেলে এনামুল হক (৩৫)। তাদের বাড়ি তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের লোহাকাচি গ্রামে।
পুলিশ জানায়, এনামুল হক তাঁর বাবাকে নিয়ে ডাক্তার দেখানো উদ্যোগে পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁয়ে যাচ্ছিলেন। ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় পৌছালে পঞ্চগড়গামী একটি মালবাহী ট্রাক তাদের ধাক্কা দেয়। এসময় এনামুল ও তার বাবা জহিরুল ইসলাম মহাসড়কে ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা জহিরুল ইসলাম নিজত হয়। গুরুত্ব আহত হন ছেলে এনামুল হক। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এনামুলকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। এসময় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার জানান, ঘটনার পরপরই ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে গেছে। এঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা কোন অভিযোগ দায়ের করলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিঞা পৃথক ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে জেলার তেতুঁলিয়া উপজেলায় সোমবার রাতে তেতুঁলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বুড়িমুটকি গ্রামে নারী সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে শহিদ (৪২) নামে এক ব্যাক্তি মৃত্যু হয়েছে। নিহত শহীদ ওই এলাকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে। এসময় শহীদের ভগ্নিপতি সাদ্দাম আহত হন।
পুলিশ জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের বুড়িমুটকি এলাকার শান্তি রাণী নামে এক নারীর বাড়িতে সলিম উদ্দীন নামে এক ব্যাক্তি যাতায়াত ছিল। এ নিয়ে সোমবার রাতে সলিমের সাথে শহীদ ও সাদ্দামের বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সলিমের লোকজনের মারধরে শহীদ ও সাদ্দাম আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তেতুঁলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শহীদের স্ত্রী ফেন্সী আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামী করে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এঘটনায় দিজেন চন্দ্র রায়ের ছেলে জিতেন চন্দ্র রায় (৫৩) নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
তেতুঁলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবু ছায়েম মিয়া জানান, একজনকে আটক করা হয়েছে বাকি আসামিদের দ্রুত আটক করে আইনের আওয়তায় আনা হবে। আসামি গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।