জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
বগুড়ার
শাজাহানপুরে সুদের টাকা দিতে না
পারায় কুখ্যাত দাদন ব্যবসায়ীরা এনামুল
হক (৪৬) নামে এক
সিএনজিচালককে মারপিটের পর তার কান
কেটে দিয়েছে।
মঙ্গলবার
দুপুরে উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর উত্তরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
রাতে তার স্ত্রী নাজমা
বেগম পাঁচ দাদন ব্যবসায়ীর
বিরুদ্ধে শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা
হলেন- শাজাহানপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর তালতলা এলাকার মৃত কোরবান আলীর
ছেলে মজনু মিয়া (৪৫),
শ্মশানকান্দির বাবু মিয়ার ছেলে
জহুরুল ইসলাম (৩৬), রামচন্দ্রপুর এলাকার
ওয়াজেদ আলীর ছেলে শফিকুল
ইসলাম (৩৫) ও মো.
শাফি (৩০) এবং মৃত
আফছার আলীর ছেলে আজিজার
রহমান (৩০)।
এজাহার
সূত্র ও নাজমা বেগম
জানান, তার স্বামী এনামুল
হক ভাড়ায় সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালান। তিনি (নাজমা) শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিন মাস আগে
প্রতিবেশী দাদন ব্যবসায়ী মজনু
মিয়ার কাছে কানের সোনার
দুল বন্ধক রেখে ২০ হাজার
টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ওই
২০ হাজার টাকা ঋণের জন্য
তাকে প্রতি সপ্তাহে দুই হাজার টাকা
সুদ দিতে হতো।
অসুস্থতার
কারণে ২-৩ সপ্তাহ
সুদের টাকা পরিশোধ করতে
ব্যর্থ হন। এতে দাদন
ব্যবসায়ী মজনু মিয়া ক্ষুব্ধ
হন। তিনি ও তার
লোকজন মঙ্গলবার দুপুরে লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে এসে
অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর এনামুল হককে
মারপিট করেন। স্বামীকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে নাজমাকেও মারপিট
করা হয়েছে।
এতেও
রাগ না কমলে মাটিতে
পড়ে যাওয়া এনামুলের কানে ইট দিয়ে
আঘাত করা হয়। এতে
তার বাম কানের অংশ
কেটে পড়ে যায়। পরে
রক্তাক্ত এনামুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান
মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাজমা
বেগম আরও জানান, তিনি
মঙ্গলবার রাতে শাজাহানপুর থানায়
পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি কুখ্যাত দাদন
ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
কামনা করেছেন।
শাজাহানপুর
থানার ওসি আবদুল্লাহ আল
মামুন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ
পাওয়া গেছে। তদন্তসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অভিযুক্ত
মজনুর ফোন বন্ধ ও
এলাকায় না থাকায় তার
বক্তব্য পাওয়া যায়নি।