ফরিদপুরে বাসশ্রমিককে মারধরের ঘটনায় সোমবার (১৩ জুন) সকাল ৬টা থেকে ফরিদপুর-ঢাকা ও অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৬ জুন বোয়ালমারী থেকে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি লোকাল বাস সকাল ৯টায় মাঝকান্দি নামক স্থানে পৌঁছায়। এ সময় যাত্রী তোলা নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা মাহেন্দ্রাচালক আব্দুল মজিদের সঙ্গে বাসের হেলপার রাসেলের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রাসেলের হাত ভেঙে দেন মজিদ। বাসের জানালার কাঁচও ভেঙে ফেলেন।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ বাসশ্রমিকরা ওই দিন সকাল সোয়া ৯টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাসের মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেন। দুপুরে মধুখালী থানা পুলিশ মাহেন্দ্রাচালক আব্দুল মজিদ মিয়াকে আটক করলে কিছুটা শান্ত হয় শ্রমিকরা। হাইওয়েতে থ্রি-হুইলার ও মাহেন্দ্রা চলাচল করতে দেওয়া হবে না—এমন আশ্বাসে বিকাল ৪টা থেকে সকল রুটে বাস চলাচল শুরু হয়। পরে দুই পক্ষের মালিক-শ্রমিক ও পুলিশ বিভাগের যৌথ আলোচনার পর ১১ জুন পর্যন্ত বাস ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরিদপুর মটর ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি জুবায়ের জাকির বলেন, ‘বাস শ্রমিককে মারধরের ঘটনায় গত ১১ জুন সকালে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, বাস মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। পরে ১৩ জুন বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী সকাল থেকেই সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৈঠক চলছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত আসার পর বাস চলাচল শুরু করা হবে।’
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, মাহেন্দ্র মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বৈঠক চলছে। মাহিন্দ্রা একটি সমস্যা। এই গাড়ি কোন সড়কে চলতে পারবে, আর কোনও সড়কে চলতে পারবে না, সেই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বাস চলাচল বন্ধ থাকবে।’