ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪ |

EN

ভালুকার দক্ষিণ রাংচাপড়া বিদ্যালয়

মাঠে থই থই পানি পাঠদান ব্যাহত

অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসা করছে। যাওয়া-আসার সময় শিক্ষার্থীদের কাপড় ভিজে যাচ্ছে।


নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: সোমবার, জুন ১৩, ২০২২

মাঠে থই থই পানি পাঠদান ব্যাহত
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার দক্ষিণ রাংচাপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতা দূর করতে দুই বছর আগে মাঠে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। কিন্তু তারপরও অবস্থার উন্নতি হয়নি। বৃষ্টি বেশি হলেই মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হয়।

গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির পুরো মাঠ পানিতে থই থই করছে। অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসা করছে। শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসার সময় শিক্ষার্থীদের কাপড় ভিজে যাচ্ছে। মাঠের পূর্ব পাশে খেলা করছে একদল হাঁস।

স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম তরফদারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। দুজনই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
খালেদ হাসান, সভাপতি, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ বিদ্যালয়। এখানে বর্তমানে ২২৬ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। বিদ্যালয়ে পাঠদানের জন্য রয়েছেন সাতজন নারী শিক্ষক। বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতা দূর করতে গত দুই বছর আগে মাঠে মাটি ফেলে ভরাট করা হয়। বিদ্যালয়ের চারপাশে রয়েছে মাছের খামার। এসব মাছের খামারের কারণে মাঠের পানি বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই বর্ষাকালে মাঠ তলিয়ে থাকে পানির নিচে। এর ফলে নিয়মিত হয় না শিক্ষার্থীদের সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি)।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির অন্তত আট শিক্ষার্থী জানায়, জলাবদ্ধতার কারণে মাঠে খেলাধুলাসহ স্বাভাবিক হাঁটাচলাও করতে পারে না তারা। স্কুলে এসে কক্ষে বন্দী হয়ে থাকতে হয় তাদের।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা জানান, মাঠের জলাবদ্ধতার কারণে সমাবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

প্রধান শিক্ষক সুফিয়া বেগম বলেন, দুই বছর আগে স্কুল মাঠে মাটি ফেলা হয়েছে। কিন্তু পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমেছে।

কত টাকার মাটি মাঠে ফেলা হয়েছে জানতে চাইলে সুফিয়া বেগম বলেন, এ ব্যাপারে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. আজাদ বলতে পারবেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি খালেদ হাসান গত শনিবার মুঠোফোনে বলেন, এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও ভরাডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম তরফদারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। দুজনই বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতা সম্পর্কে জানেন না তিনি। প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি কেউই যোগাযোগ করেননি তাঁর সঙ্গে। বিষয়টি জানানো হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন তিনি।

সুত্র: প্রথম আলো