নানা ঘটনা, অস্ত্র হাতে মহড়া ও হামলার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বেশ কয়েক মাস পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আলোচিত সহিদ উল্যাহ প্রকাশ কেচ্ছা রাসেলকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, একটি পাইপগান ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

মঙ্গলবার রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের লোহারপুল এলাকায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় রাসেলকে। রাসেল বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের করালিয়া গ্রামের শফি উল্যাহর ছেলে। তিনি বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী বলে জানা গেছে।

জানা যায়, তার বিরুদ্ধে ২০০৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত অস্ত্রসহ বিভিন্ন ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৩টি মামলা রয়েছে। সর্বশেষ বসুরহাট বাজারে চলতি বছরের ১৩ মে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে গুলি করলে আলোচনায় আসে রাসেল।

গত ছয় মাসের বেশি সময় ধরে কোম্পানীগঞ্জে চলে আসা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মূলহোতা ওই রাসেল। আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নূর নবী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহজাহান সাজু, ছাত্রলীগ নেতা করিম উল্যাহ শাকিল ও সাংবাদিক সুভাস চন্দসহ অন্তত ২০ জনকে গুলি, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে অনেকে এখনও পুঙ্গত্ব অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৩ মে বিকালে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড করালিয়া এলাকায় মিজানুর রহমান বাদল সমর্থকদের গুলি করতে গেলে সিসি টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার অস্ত্র হাতের ছবি।

অপরদিকে একই রাতে কোম্পানীগঞ্জের মুছারপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারি ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহীন চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাসেল ও শাহীনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান, গ্রেফতার রাসেলের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।