মেহেরপুর শহরের কোর্ট মসজিদ মার্কেট উচ্ছেদের ঘটনায় হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির ৫ দিনের কমূসুচির আজকে ৫ম দিনে সকল দোকান ও ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কাফনের কাপড় পরে মনোমিছিল করেছে ব্যাবসায়ীরা। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে এ ধর্মঘট শুরু করা হয়।
শহরের মানিক টাওয়ারের সামনে থেকে একটি কাফনের কাপড় পরা মনোমিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল শিমন, কলেজ মোড় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এমএ কুদ্দুস সহ ব্যবসায়ীরা।
জেলা প্রশাসক ড মুনসুর আলম খান এর অপসারণ দাবি করে সমাবেশে বক্তারা বলেন ২০০৬ সালে মসজিদের উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদ কমিটিকে ২৫ টি দোকান বাবদ ২ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয় ।যার রশিদ সহ সমস্ত প্রমাণ আছে। তাই কোন ভাবেই এগুলো অবৈধ দোকান হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যার ঘর নাই তাকে ঘর তৈরি করে দেওয়া হয় কিন্তু মেহেরপুরের ব্যবসায়ীরা ঘরছাড়া হলেন। তারা বলছেন অবৈধ দোকান কিন্তু জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ভাড়ার নোটিশ প্রদান এটি বিবেচনার বিষয়।
আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের মোট ক্ষতি আনুমানিক ১ কোটি ৭০ লক্ষ্য টাকা। এত ক্ষতি করাই অবিলম্বে আমরা জেলা প্রশাসক ও এসিল্যান্ডের অপসরণ চাচ্ছি। আমাদের বর্তমান আন্দোলন ১২ তারিখ পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমাদের পাঁচ দিনের যে কর্মসূচি ছিলো তাতে যদি কোনো ব্যবস্থা গৃহীত না হয় তাহলে ১২ তারিখ রাতে জেলার সকল ব্যবসায় সমিতি আলোচনা করে ১ দফা আন্দোলনে আমরা যেতে বাধ্য হব যেটি হলো মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের অপসারণ।