নেত্রকোনার মদনে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ট্রলার ঘাটের নাম করে এক শ্রেণি অসাধু মুনাফা লোভী চা বিক্রেতা আরশ মিয়া নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে ট্রলার মালিকদের নিকট থেকে ২শ থেকে ৩শ টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বর্ণি নদীতে ধানকুনিয়া নামক স্থানে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মদন-তাড়াইল সড়কে বর্ণি নদী ইজারাদার দিয়ে প্রতিনিয়ত টোল আদায় করা হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে ইজারা বাতিল হয়ে গেলে আলমশ্রী গ্রামের আরশ মিয়া নদীটি পাড়াপারের জন্য সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিজস্ব একটি ঘাট তৈরি করে ট্রলার মালিকদের নিকট থেকে ২শ থেকে ৩শ টাকা আদায় করছে। তার ঘাটে ট্রলা না রাখলে যাত্রী উঠতে দিচ্ছে না। এমনকি তাদের সাথে অসদাচরণ করছে বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিকে ট্রলার মালিক পক্ষও ১০ টাকা ভাড়ার ক্ষেত্রে ২০ থেকে ৩০ টাকা যাত্রী অনুযায়ী আদায় করছে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার সরজমিনে গেলে চা বিক্রেতা চাঁদা আদায়কারী আরশ মিয়াকে পাওয়া যায়নি।
তবে তাড়াইল থেকে আসা যাত্রী আব্দুল করিম,আমেনা আক্তার জানান, এই নদী পাড় হতে যেখানে ১০টাকাই যথেষ্ট ছিল কিন্তু সেখানে ঘাটে ভাড়া বেশি নেয়ার কারণে নাকি আমাদের ভাড়াও বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের দিতে হচ্ছে ২০ টাকা। এতে করে আমরা যাত্রীরা পড়েছি বিপাকে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ট্রলার মালিক জানান, আরশ মিয়াকে প্রতি ট্রলালের জন্য ২শ থেকে ৩শ টাকা দিতে হয়। না দিলে আমাদের যাত্রী দেয় না। এমনকি আমাদের সাথে অসধাচরণ করে। পাশে ট্রলার রাখার জন্য সরকারি জায়াগাও রয়েছে। কিন্তু আরশ মিয়া এসব জায়াগা ট্রলার রাখতে দিচ্ছে না। বিষয়টি আমরা চেয়ারম্যান সাহেবকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।
চাঁদা উত্তোলণকারী আরশ মিয়া মোবাইল ফোনে জানান, আমার নিজস্ব জায়গায় ট্রলার রাখছি তাই টাকা নিচ্ছি। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান অবগত আছেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরশ মিয়া আরো জানান, আমি চেয়ারম্যানকে বলতে যাব কেন? যদি উপরে যেতে হয় তা হলেও যাব।
সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি জানান, এ ঘাটে চাঁদা আদায় করছে শুনে আমি ইউপি মেম্বার বাবুলকে দিয়ে আরশ মিয়াকে খবর দিয়ে ছিলাম। কিন্তু আমার সাথে সে দেখাও করেনি। বিষয়টি আমি ইউএনও স্যারকে অবগত করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান, আমি খোঁজ নিয়ে এখনি এসব বন্ধ করতেছি।