বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে তিনটি কন্যাসন্তান প্রসব করেছেন একজন প্রসূতি। ওই নারীর নাম হাজেরা বেগম (২২)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সি-সেকশন অস্ত্রোপচার তাঁর তিন নবজাতককে প্রসব করানো হয়। তিন নবজাতকই জীবিত আছে। তবে তাদের শারীরিক জটিলতা দেখা দেওয়ায় রাতেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
চিকিৎসকেরা জানান, তিন নবজাতকের ওজন যথাক্রমে ১ কেজি ২৯০ গ্রাম, ১ কেজি ১৭৫ গ্রাম এবং ১ কেজি ৩০০ গ্রাম। এর মধ্যে ১ কেজি ১৭৫ গ্রাম ওজনের নবজাতকটির শারীরিক জটিলতা আছে। বাকি দুজন মোটামুটি সুস্থ আছে।
একটি নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ওজন কম এবং আরও কিছু জটিলতা রয়েছে। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার হালদার বলেন, প্রসূতির প্রসবজনিত জটিলতা থাকায় তিন নবজাতককে নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রসব (আরলি ডেলিভারি) করানো হয়েছে। তারপরও তিনটি নবজাতকই জীবিত আছে। তবে এদের মধ্যে একটি নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। ওজন কম এবং আরও কিছু জটিলতা রয়েছে। তাই স্বজনদের শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে অন্য দুই নবজাতকের অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো।
প্রসূতির স্বজনেরা জানান, বরগুনা সদর উপজেলার বদরখালী এলাকার প্রবাসী ইলিয়াস ফরাজীর স্ত্রী হাজেরা বেগম। তাঁর সন্তান প্রসবের সময় ছিল আরও কয়েক সপ্তাহ পর। কিন্তু গতকাল দুপুর থেকে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়। পরে সন্ধ্যায় তাঁকে বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাতেই তাঁর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। পরে গতকাল রাত ৮টার দিকে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে একে তিন সন্তান প্রসব করেন তিনি।
হাজেরা বেগম এবারই প্রথম মা হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন তাঁর স্বজন জাহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সন্তান প্রসবের পর তাদের মা সুস্থ আছেন। একসঙ্গে তিন তিনটি কন্যাসন্তানের মা-বাবা হতে পেরে বেজায় খুশি হাজেরা বেগম ও তাঁর স্বামী। তাঁরা স্বজনেরাও খুব খুশি। তবে একটি নবজাতকের শারীরিক অবস্থা ভালো না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন মা–সহ সবাই।