Can't found in the image content. প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবেনা জানতে চায় হাইকোর্ট | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবেনা জানতে চায় হাইকোর্ট

আল মামুন, বরিশাল প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুন ৯, ২০২২

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবেনা জানতে চায় হাইকোর্ট
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রসূতির অপারেশনের সময় পেটে গজ রেখে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় ভিকটিম শারমিন আক্তার শিলাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। পৃথক রুলে ভুক্তভোগী নারীর চিকিৎসায় অবহেলার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে ভুক্তভোগীকে যথোপযুক্ত হাসপাতালে স্থানান্তর করে উন্নত চিকিৎসা দিতে বরিশাল সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 
এই ঘটনা তদন্ত করে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের ওপর আদেশের নির্ধারিত দিনে বুধবার (৮ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট জীবন নেছা মুক্তা আদেশের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জীবন নেছা মুক্তা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ এই বিষয়ে রিটকারী ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে আদেশের জন্য বুধবার দিন ধার্য রাখেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৭ জুন) শেবাচিম হাসপাতালে প্রসূতির অপারেশনের সময় পেটে গজ রেখে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় ভিকটিম শারমিন আক্তারকে ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জীবননেছা মুক্তা। এছাড়া রিটে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ভিকটিমের পরিবারের খরচ নির্বাহের জন্য তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিটে স্বাস্থ্য সচিব, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে এক কন্যা সন্তান জন্ম দেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার শারমিন আক্তার। সে সময় অস্ত্রোপচারের পর তার পেটে গজ রেখেই সেলাই করে দেন এক চিকিৎসক। সুস্থ হয়ে শারমিন বাড়ি ফেরার কিছু দিন পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আস্তে আস্তে সেখানে পচন ধরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে ব্যথা অনুভব করতে শুরু হয়। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানলে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শারমিনকে।

হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. নাজিমুল হক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান, শারমিনের পেটের ভেতর গজ রয়ে গেছে। ২২ মে পুনরায় অস্ত্রোপচার করে তা অপসারণ করেন।

এই ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্তে কমিটি গঠন করেছে হাসপাতাল প্রশাসন। গত ৩১ মে গঠন করা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিগত দিনের রিপোর্টের ন্যায় এখন পর্যন্ত আলোরমুখ দেখেনি। 

শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, কার অবহেলায় রোগির পেটে গজ রেখে সেলাই দেওয়া হয়েছে তা তদন্তে সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হলেও এখনো হাতে পাননি বলে জানান তিনি।
হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে পরিচালক জানান, আদেশের কপি হাতে পাওয়ার পর নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।