দেশের মধ্যে এবং উজানে ভারি বৃষ্টির কারণে আগামী দু-দিনের (৪৮ ঘণ্টা) মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সিলেট অঞ্চল) নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা পার হতে পারে।
শনিবার (৪ জুন) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে থেকে এ তথ্য জানা গেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা পার হলে ওই অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত মাসেও ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। দুর্ভোগে পড়ে লাখ লাখ মানুষ। সেই বন্যার ক্ষত এখনো শুকায়নি উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও গঙ্গা-পদ্মা নদ-নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, অপরদিকে তিস্তা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে।’
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর গাণিতিক মডেলভিত্তিক পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের আসাম (বরাক অববাহিকা), মেঘালয় ও হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গের কিছু স্থানে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা ও সোমেশ্বরীসহ সব প্রধান নদ-নদীর পানি বাড়তে পারে।’
‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টিপাতের পরিপ্রেক্ষিতে সুরমা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের, কুশিয়ারা ও সোমেশ্বরীসহ প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বেড়ে কয়েকটি স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।’
আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানির বাড়ার ধারা অব্যাহত থাকতে পারে এবং বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে বলেও জানিয়েছেন আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া।