Can't found in the image content. বরিশালে গাফ্‌ফার চৌধুরীর নাগরিক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত | ফ্রিডম বাংলা নিউজ
ফ্রিডম বাংলা নিউজ

রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ |

EN

বরিশালে গাফ্‌ফার চৌধুরীর নাগরিক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত

ঝালকাঠি, প্রতিনিধি | আপডেট: শুক্রবার, জুন ৩, ২০২২

বরিশালে গাফ্‌ফার চৌধুরীর নাগরিক স্মরন সভা অনুষ্ঠিত
বরিশালের কৃতি সন্তান, বরেন্য সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত লেখক এবং ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ কালজয়ী গানের স্রষ্টা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে বরিশালে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাগরিক স্মরন সভা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মরন সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য, জাতীয় পার্টি (জেপি) চেয়ারম্যান, দৈনিক ইত্তেফক সম্পাদক, সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঞ্জু বলেন, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী মরেনি, তিনি বেছে আছেন তার কালজয়ী গান ও লেখনীর মাধ্যমে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গান নিয়ে প্রতিবছর ভাষার মাসে গাফ্ফার চৌধূরী আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।'

তিনি আরো বলেন যেই বাংলাদেশ সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে, সেই বাংলাদেশকে যারা পুরোনো অবস্থানে নিতে চায় তারা ভুল জগতে আছে। 

স্মরন সভায় সভাপতিত্ব করেছেন, বরিশাল সিটি মেয়র ও নাগরিক পর্ষদের আহবায়ক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।

স্মরন সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন, বিবিসি লন্ডনের প্রযোজক কাজী জাওয়াদ। গাফ্‌ফার চৌধুরীর জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেছেন, অনুষ্ঠানের আলোচক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো ছাদেকুল আরেফিন, বরিশাল নাগরিক পর্ষদের যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হোসেন আকাশ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন, বরিশাল নাগরিক পর্ষদের সদস্য সচিব সৈয়দ দুলাল।

মুক্তিযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘সাপ্তাহিক জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। 

বরিশালের উলানিয়ার চৌধুরী বাড়িতে তার জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর। ছাত্রজীবনেই তার সাহিত্যচর্চা শুরু হয়। ১৯৪৯ সালে ‘সওগাত’ পত্রিকায় আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর প্রথম গল্প ছাপা হয়।

১৯৫০ সালেগাফ্‌ফার চৌধুরীর কর্মজীবন পরিপূর্ণভাবে শুরু হয়। এ সময়ে তিনি ‘দৈনিক ইনসাফ’ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে ‘সংবাদ’, ‘সওগাত’, ‘মেঘনা’, ‘চাবুক’, ‘আজাদ’, ‘জনপদ’, ‘বাংলার ডাক’, ‘সাপ্তাহিক জাগরণ’, ‘নতুন দেশ’, ‘পূর্বদেশ’সহ অনেক পত্রিকায় কাজ করেন। প্রবাসে বসেও গাফ্‌ফার চৌধুরী বাংলাদেশের প্রধান পত্রিকাগুলোয় নিয়মিত লিখেছেন। তার লেখা বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘চন্দ্রদ্বীপের উপাখ্যান’, ‘নাম না জানা ভোর’, ‘নীল যমুনা’, ‘শেষ রজনীর চাঁদ’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ও ‘পলাশী থেকে ধানমণ্ডি’।

বাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক, ইউনেসকো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, সংহতি আজীবন সম্মাননা পদক, স্বাধীনতা পদকসহ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মে বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৮৮ বছর বয়সী প্রবীন এই লেখক। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।