ফ্রিডম বাংলা নিউজ

শুক্রবার, অক্টোবর ১৮, ২০২৪ |

EN

একরাতে ১৯ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

ফ্রিডমবাংলানিউজ ডেস্ক | আপডেট: সোমবার, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১

একরাতে ১৯ স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি

সাভারের আশুলিয়া থানার নয়ারহাট বাজারে ১৯টি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের প্রায় দেড়শ ভরি স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

 

সোমবার ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার এসআই হারুন অর রশিদ।

 

ভুক্তভোগী এক দোকান মালিক গৌরাঙ্গ বলেন, রাত ১ থেকে ২টার দিকে তিনটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন ডাকাত বাজারে প্রবেশ করেন। এসময় তাঁদের হাতে বন্দুক, পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র ছিল। তাঁরা নিরাপত্তা প্রহরী ও বিভিন্ন দোকানের কর্মচারীদের ব্যাপক মারধর করতে থাকে। ভয়ে নিরাপত্তা প্রহরী ও দোকানের কর্মচারীরা চিৎকারও দিতে পারেনি। ডাকাতরা মোট ১৯টি দোকানে ডাকাতি করে প্রায় ১৫০ ভরি স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকার লুট করে আবার নৌকা দিয়ে চলে যায়।

 

পুলিশ জানায়, বংশী নদী তীরে আশুলিয়ার নয়ারহাটে স্বর্ণের ১৯টি দোকানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা নৌপথে এসে ওই বাজারে ডাকাতি করেছে বলেও জানা গেছে। এঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

 

ডাকাতরা এসে প্রথমে সকল দোকানে থাকা কর্মচারীদের একটি দোকানে নিয়ে বেঁধে ফেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সজীব চন্দ্র দাস বলেন, রাত ২টার দিকে দোকানের কেচিগেট এ টোকা দেয় তাঁরা। কে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা বলে আমরা পুলিশ। পরে গেট খুলতে না খুলতেই তাঁরা ঢুকে পরে দোকানে। আমাদের বলে, যা আছে বের করে দিতে।

 

মূলত বংশী নদীর পারেই নয়ারহাটে বেশ পুরোনো এই বাজারে অনেকগুলো গহনা বানানোর ওয়ার্কশপ রয়েছে। জবা জুয়েলারি, শ্রুতি জুয়েলার্স অ্যান্ড ডাইস, ভূমি জুয়েলার্স অ্যান্ড ওয়ার্কশপ, সাথী জুয়েলার্স অ্যান্ড ওয়ার্কশপ, অনন্যা জুয়েলার্স, শুস্মিতা জুয়েলার্স, মাহফুজা জুয়েলার্সসহ ১৯টি দোকানে লুটপাট চালায় ডাকাতদল।

 

সাথী জুয়েলার্সের কর্মচারী জয় ঘোষ বলেন, রাত প্রায় আড়াইটার দিকে তালা কেটে সাটার একটু উঁচু করে একটি রাইফেল ঢুকায় তাঁরা। বলে তাড়াতাড়ি দোকান খোল। আপনারা কারা জিজ্ঞেস করতেই আরও দুই তিনটি বন্দুক দেখিয়ে বলে তাড়াতাড়ি খোল না হলে গুলি করে দিব। পরে দোকান খুলে দিলে আমাদের একটি মুদি দোকানে নিয়ে গিয়ে বেঁধে রাখে।

 

সাথী জুয়েলার্সের মালিক রঞ্জন রাজবংশী বলেন, আমার দোকানে ২০ ভরি ৪ আনা স্বর্ণ ছিল, ৪০ ভরির মত রুপা ছিল আর নগদ ৮ হাজার টাকা ছিল। দোকানের সিন্দুক ভেঙে ডাকাতরা এগুলো নিয়ে গেছে।

 

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম বলেন, এখন অব্দি কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। আমরা আমাদের মত করে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।