ফ্রিডম বাংলা নিউজ

বুধবার, জুন ২৬, ২০২৪ |

EN

ময়মনসিংহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ

জেলা প্রতিনিধি | আপডেট: বৃহস্পতিবার, জুন ২, ২০২২

ময়মনসিংহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার কাছে চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে লংগাইর ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের আঃ ছালাম এবং তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে পাগলা থানায় মামলা দায়ের করে ওই শিক্ষিকা।

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সাল থেকে উপজেলার বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছালেহা আক্তার রুবি প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত আছেন। গত ৬ মাস যাবত একই এলাকার আঃ সালামের সাথে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে আঃ সালাম ও তার ছেলে মিজান অশালিন গালমন্দ ও চাঁদা দাবি করতো। গত ২৩ মে সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যালয়ের শ্রেনি কক্ষে পাঠদানের সময় আঃ ছালাম তার ছেলে মিজান, মেয়ে মাহমুদা ও স্ত্রী ফরিদা খাতুন লোহার রড়, দা, লাঠি নিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তাদের দেখে প্রধান শিক্ষিকা সালেহা আক্তার রুবি বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে অবস্থান নেয়। এ সময়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় গত ২৬ মে প্রধান শিক্ষিকা ছালেহা আক্তার রুবি ময়মনসিংহ আদালতে নালিশী করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিশাত জাহান চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশে গত ২৮মে পাগলা থানায় মামলা রুজু হয়।

বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা ছালেহা আক্তার রুবি বলেন, গত ৬ মাস ধরে আঃ সালামের সাথে আমার বিরোধের সৃষ্টি হয়। প্রথমে আমার কাছে সে চাঁদা দাবি করে। আমি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে স্বপরিবারে আমার স্কুলে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে অতর্কিতে হামলা করে আমাকে আহত করে। আমি তাঁদের শাস্তির দাবি করছি। এ বিষয়ে জানতে আঃ সালামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
পাগলা থানার ওসি মোঃ রাশেদুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।